তখন অনেক রাত, গুলির শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে যায়, শব্দ কোথা থেকে আসছে বোঝার চেষ্টা করি, কিন্তু বুঝে উঠতে পারছিলাম না, কিছুক্ষণ পর আবারো গুলির শব্দ শুনে বিছানা থেকে লাফিয়ে উঠি, জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি পুরো বাড়িটি কালো পোশাকের কিছু লোক ঘিরে ফেলেছে। ভয়ে গা ছমছম করে কাঁপছিল…
যুগান্তরের কাছে মঙ্গলবার রাতের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন রাজধানীর মিরপুরের দারুসসালাম থানার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পাশে জঙ্গি আস্তানা হিসেবে ঘিরে রাখা ছয় ভবনের তিনতলার বাসিন্দা গুলশানারা।
গুলশানারা বলেন, ভয় আর আতঙ্গ নিয়ে কোনোমতে রাত পার করেন তিনি ও তার পরিবার। পরে সকালে র্যাব সদস্যরা এসে তাদের উদ্ধার করেন।
তিনি বলেন, এক কাপড়ে কোনোমতে জীবন নিয়ে বেরিয়ে এসেছি।এখন ঘরে ফেরার জন্য অপেক্ষা করছি।কে জানে কখন ঘরে ফিরতে পারবো।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এছাড়া এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
র্যাব জানায়, ছয়তলা ওই ভবনের পঞ্চম তলায় জঙ্গি আবু, তার দুই সহযোগী, দুই স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ মোট ৭ জন রয়েছে। আব্দুল্লাহ ও তার পরিবার এবং সহযোগীদের আত্মসমর্পণ করানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন র্যাব সদস্যরা।
এর আগে টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার মসিন্দা এলাকায় জঙ্গি আস্তানা থেকে সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটায় দুই জঙ্গিকে আটক করে র্যাব।আটককৃত দুই সহোদর হলো মাসুদ ও খোকন।
পরে ওই দুই সহোদর ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে মিরপুরের দারুসসালাম ওই বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানের পর বেশ কয়েকটি বিকট শব্দ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো বোমা বিস্ফোরণের শব্দ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
You cannot copy content of this page