• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন

২০২০ সালে চীনকে টপকাবে বাংলাদেশ!

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে বাংলাদেশি পোশাকের রফতানি বাড়ছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ২০২০ সালের দিকে বাংলাদেশ চীনকে টপকিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় পোশাক সরবরাহকারী দেশ হয়ে উঠতে পারে।

পোশাক খাতের নামকরা প্রতিষ্ঠান টেক্সটাইল ইন্টিলিজেন্সের সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা রিপোর্টে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

ওই গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগের নয় বছরের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে ২০১৬ সালেও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে বাংলাদেশি পোশাকের রফতানি বেড়েছে। এই সময়ে রফতানির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ১২ শতাংশ থেকে ২৩ শতাংশ হয়েছে।

অন্যদিকে ২০১৬ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে রফতানিতে চীনের অবস্থান আরও অবনমিত হয়েছে। শ্রমিক সংকট ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে এই অবনমন অব্যাহত থাকতে পারে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০১০ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্ধেকের বেশি পোশাক চীন থেকে যেত। কিন্তু গত ৬ বছরে ধারাবাহিকভাবে কমে ২০১৬ সালে চীন থেকে আমদানির হার দাঁড়িয়েছে ৩৮ শতাংশে।

পণ্যের মূল্য কমিয়েও চীনা রফতানিকারকরা ইউরোপের মার্কেট ধরে রাখতে পারছে না।

ফলে বাংলাদেশ থেকে রফতানি বাড়ছে, আর চীনের কমছে। এ অবস্থায় আগামী ৩ বছরের মধ্যেই চীনকে টপকিয়ে বাংলাদেশ ইউরোপের মার্কেটে এক নম্বর সরবরাহকারী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখছে টেক্সটাইল ইন্টিলিজেন্স।

অবশ্য চীনের অবনমনে শুধু বাংলাদেশের নয়, ইউরোপে চাহিদা বাড়ছে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া এবং মিয়ানমারের কাপড়েরও।

তবে বাংলাদেশ নিজেদের এই দ্রুত বর্ধনশীলতাকে সামনের বছরগুলোতে কতটুকু ধরে রাখতে পারবে, তা স্পষ্ট নয় বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

যদি বর্ধনশীলতাকে ধরে রাখতে না পারে এবং চীন তার অব্যাহত অবনমন থামাতে পারে তাহলে মার্কেট পরিস্থিতি খুব একটা হেরফের হবে না বলেও জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে।

অগ্রগতি ধরে রাখতে বাংলাদেশের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তাবিষয়ক উদ্বেগ দূর করা এবং কারখানার পরিবেশ উন্নত করাসহ শ্রমিকদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করে টেক্সটাইল ইন্টিলিজেন্স।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page