গোলের দেখা পাননি তারকা ফরোয়ার্ডদের কেউই। তারপরও অলিম্পিক লিয়র আত্মঘাতী গোল জিতিয়ে দিল প্যারি সেন জার্মেইকে (পিএসজি)। কিন্তু ২-০ গোলের এ জয়কে ছাপিয়ে গেল ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় নেইমার ও তার সতীর্থ এদিসন কাভানির পেনাল্টি বিরোধ।
পিএসজি গত রবিবার রাতে লিয়র বিপক্ষে একটি পেনাল্টি পায়। কিন্তু কে শট নেবেন, এ নিয়ে মতভেদ দেখা দেয় নেইমার ও কাভানির মধ্যে। শেষ পর্যন্ত কাভানি শটটি নিলেও তাতে বিফল হন। পরে পিএসজি কোচ উনাই এমেরি উভয় ফরোয়ার্ডকে পেনাল্টি মারার ব্যাপারে সমঝোতায় আসতে তাগিদ দেন। নইলে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে এর সমাধান দেবেন বলে জানান তিনি। বিশ্বরেকর্ড দলবদলে বার্সেলোনা ছেড়ে ফরাসি রাজধানীতে আসা নেইমার ও কাভানির বিরোধটি দেখা দেয় ৭৯তম মিনিটে। শেষ পর্যন্ত উরুগুয়ে স্ট্রাইকার কাভানিই শট নেন। কিন্তু গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় গোল করতে পারেননি।
কোচ এমারি এ ঘটনার একদিন আগেই জানিয়েছিলেন দু’জনের কাছে দল আগে। বিশেষ করে পেনাল্টি মারার প্রশ্ন এলে। তিনি এও দাবি করেছিলেন তার দামী খেলোয়াড়দের মধ্যে কোনো অহমিকা নেই। তারা দলের প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ। খেলা চলাকালে তারা একে অপরকে সাহায্যও করে।
এর মধ্যেই বিরোধটি প্রকাশ্য হলো। যদিও পিএসজির হয়ে বরাবর পেনাল্টি শট নেন কাভানিই। এখন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পিএসজি কোচ বলেছেন, নেইমার ও কাভানিই যেন বিরোধ মিটিয়ে নেয়। নইলে তিনি হস্তক্ষেপ করবেন।
এমার বলেন,‘অল্প কিছু খেলোয়াড় পেনাল্টি নেবে। এদের একজন কাভানি এবং অন্যজন নেইমার। পেনাল্টি নেওয়ার ক্ষেত্রে মাঠে একটা সাধারণ বোঝাপড়া থাকতে হয়। আমি মনে করি দুই জনই পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারে। আমি চাই এক্ষেত্রে এই দুইজন পালাক্রমে আসুক। কোনো মতৈক্য না হলে আমি সিদ্ধান্ত নেব। আমি চাই না এটা আমাদের জন্য একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াক।”
এটি ছিল পিএসজির ষষ্ঠ জয়। ৭৫ ও ৮৫ মিনিটে গোল দুটি পায় প্যারিস নগরীর দলটি। ফলে সবকটি খেলায় জিতে পাওয়া ১৮ পয়েন্টের সুবাদে ফ্রান্সের শীর্ষ ফুটবল লিগটিতে শীর্ষে আছে পিএসজি। অপরদিকে রাদামেল ফালকাওয়ের জোড়া গোলে স্ত্রাসবুরকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে শিরোপাধারী মোনাকো।