জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডের খেলায় মাত্র একটি ম্যাচে এসেছে ফলাফল। তাতে, রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে সিলেট বিভাগকে ছয় উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী বিভাগ। যদিও, সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে।
সেখানে সকালে ডাবল সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। ২০১১-১২ মৌসুমে জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনার হয়ে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে করেছিলেন ১৯৩ রান। এরপর একাধিক সেঞ্চুরি পেলেও কোনো ইনিংসে দেড়শ পার করতে পারেননি। পাঁচ বছর অপেক্ষার পর বিজয় পেলেন প্রথমবারের মতো ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ। সোহরাওয়ার্দী শুভর বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৯৯ রান থেকে ডাবল সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছে যান তিনি। খুলনা প্রথম ইনিংসে অল আউট হওয়ার আগে করে ৪৯৫ রান। ২১৬ রানে থামেন বিজয়। তার হাতেই উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। এছাড়া বর্ষীয়ান ব্যাটসম্যান তুষার ইমরান করেন ৫৪ রান। পাঁচ উইকেট নিয়ে চমকে দিয়েছেন নাসির হোসেন।
খুলনার ২৪ রানের লিডের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৭ রান তুলতে না তুলতেই চারটি উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর। মূল তাণ্ডবটা চালিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। চার ওভার বল করে এক মেইডেন ও ১২ রানসহ তিনটি উইকেট নেন বাংলাদেশের এই ওয়ানডে অধিনায়ক। এই পরিসংখ্যানেই বোঝা যায় তিন বছর পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলতে নেমে কতটা ভয়ঙ্কর ছিলেন তিনি।
দিনের খেলা শেষ হওয়ার ৪৬ ওভার আগে নামে বৃষ্টি। কে জানে, বেরসিক বৃষ্টি না আসলে হয়ত মাশরাফি আরো বড় ঝড় নিয়েই অপেক্ষা করছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশ দলের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ অক্টোবর। ২২ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডেও তাই খেলবেন মাশরাফি। একই মাঠে দ্বিতীয় রাউন্ডে খুলনা খেলবে বরিশালের বিপক্ষে। প্রথম টায়ারের অপর ম্যাচে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনেও বল মাঠে গড়ায়নি। ফলে, বাধ্য হয়েই ড্র মেনে নিয়েছে ঢাকা ও বরিশাল বিভাগ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছে চট্টগ্রাম ও ঢাকা মেট্রোও। সেই ম্যাচটিও ছিল বৃষ্টিবিঘ্নিত।
ঢাকা মেট্রোর ছুড়ে দেওয়া ৩৮৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে গতকাল সোমবার চতুর্থ দিনে বিকালে বৃষ্টি এসে বাগড়া দেওয়ার আগ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগ ৬৬ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৯৩ রান। এরপর মাঠ আর খেলার উপযুক্ত না হওয়ায় ম্যাচটি ড্র ঘোষণা করেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা।
১২২ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮২ রান করেন সাজ্জাদুল হক। চট্টগ্রাম বিভাগের অধিনায়ক তাসামুল হক ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন। বল হাতে এই ইনিংসে ঢাকা মেট্রোর হয়ে ২টি উইকেট নেন শরীফ উল্লাহ। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬ উইকেট নেওয়ায় ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন ঢাকা মেট্রোর নিহাদ উজ জামান।