• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন

বিপিএল ড্রাফট বঞ্চিত স্থানীয় ক্রিকেটাররা

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

আসছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) জন্য যখন প্রতি দলে ৫ জন করে বিদেশি খেলোয়াড় খেলানোর সুযোগ তৈরি হলো, তখনই শঙ্কাটাও তৈরি হয়েছিল। অনেকেই বলছিলেন, দেশের খেলোয়াড়দের এতে সুযোগ কমে যাবে। শেষ পর্যন্ত সেই আশঙ্কাটা সত্যি হয়েছে।

 

বিপিএল ড্রাফট হয়ে যাওয়ার পর দেখা যাচ্ছে এবার বিপিএলে দলপ্রতি স্থানীয় খেলোয়াড়ের সংখ্যা ১২ জনেরও কম। এ ছাড়া বিপিএলে দল পাননি দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইনফর্ম ক্রিকেটার। এদের মধ্যে আছেন এনামুল হক জুনিয়র, নাঈম ইসলাম, আসিফ আহমেদ রাতুলের মতো খেলোয়াড়রাও।

 

এবার বিপিএলে সাত দলে দেশি ক্রিকেটার মাত্র ৭৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা ১১ জন, চট্টগ্রাম ১১ জন, কুমিল্লা ১১ জন, রাজশাহী ১১ জন, সিলেট ১১ জন, রংপুর ১২ জন, খুলনা ১২ জন দেশি ক্রিকেটার দলে নিয়েছে। ২০১৬ সালে এই সাত দলেই ছিলেন ৮৬ জন দেশি ক্রিকেটার। মানে সেবার দলপ্রতি দেশি ক্রিকেটার ছিলেন ১৩ জনের কাছাকাছি। এর আগে ২০১৫ সালে ছয় দলে ছিলেন ৭১ জন দেশি ক্রিকেটার। প্রায় ১২ জন করে ক্রিকেটার ছিলেন প্রতি দলে।

 

এই দেশি ক্রিকেটার ছাটকাট করতে গিয়ে তালিকা থেকে অবিক্রিত রয়ে গেছেন এনামুল জুনিয়র, নাঈম ইসলাম, সোহরাওয়ার্দী শুভ, আসিফ আহমেদ রাতুল, জুবায়ের হোসেন লিখন, জুনায়েদ সিদ্দিকী, মার্শাল আইয়ুব, আব্দুল মজিদ, নাজমুল মিলন, মনির হোসেন, শামসুর রহমান, শাহাদাত হোসেনরা। এ ছাড়া দল পাননি সৈকত আলী, হাসানুজ্জামান, সঞ্জিত সাহারা।

 

এই পুরো বিষয়টা দেশের ক্রিকেটের জন্য খুবই হতাশা জনক বলে বলছিলেন দেশের অন্যতম সেরা কোচ সারোয়ার ইমরান। তিনি বলছিলেন, বিশেষ করে একটা দল কমে যাওয়ার পর অন্তত নিয়মটা বদলানো উচিত ছিল, ‘আমরা শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছি। একাদশে বিদেশি ৫ জন।  লোকাল প্লেয়ারদের সুযোগ কমে যায়। বলা হয়েছিল দল আটটি। কিন্তু একটা দল কমে যাওয়ার পরও নিয়মটা পরিবর্তন করা যায়নি।’

 

পুরো বিষয়টা ক্রিকেটার জায়গা থেকে খুবই হতাশার বলে বলছিলেন এই কোচ। তিনি বলছেন, এই বাদ পড়া ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্তত ৭-৮ জন এমন ক্রিকেটার আছেন, যারা অবশ্যই বিপিএলে খেলার যোগ্য, ‘এটা অবশ্যই হতাশার। ওদের জন্য বড় হতাশার বিষয়। অনেকগুলো প্লেয়ার সুযোগ পায়নি। এটা বড় টুর্নামেন্ট। নাম বললে ২০-২৫ জনের কথা বলা যায়, আরও ৭-৮ টা প্লেয়ার তো সুযোগ পেত কমপক্ষে। এখন আসলে আমরা নিয়মের বেড়াজালে পড়ে গেছি।’
Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page