ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি॥
ময়মনসিংহের ভালুকার কাচিনা ইউনিয়নের বাটাজোর গ্রামে এক সন্তানের জননী আঁখি আক্তার (২৮) নামে কার্টুন ফ্যাক্টুরীর এক শ্রমিককে বাড়ীতে আটকে রেখে মারপিট করে আহত করেছে শাহাব উদ্দীন ও তার দলবল। ঘটনাটি ঘটেছে (৮ অক্টোবর) রোববার বিকালে।
এ সময় ওই মহিলা শ্রমিকের কাছ থেকে বেতনের নগত ১০ হাজার টাকা, একটি সোনার চেইন, স্বর্ণের কানফুল,একটি মোবাইল সেট, হাতঘড়ি, পায়ের জুতা,পড়নের ওড়না ছিনিয়ে নেয়। এলাকাবাসী খবর দিলে ভালুকার কাচিনা ইউনিয়নের বাটাজোর ১নং ওয়ার্ড মেম্বার নূরুল ইসলাম চৌকিদার আলিম উদ্দীনকে সাথে নিয়ে শাহাব উদ্দীনের বাড়ী হতে মুমূর্ষ অবস্থায় আহত আঁখি আক্তারকে উদ্ধার করে। পরে পার্শ্ববতী সখিপুর উজেলার কীর্তনখোলা গ্রামে আখি আক্তারের পিতা আব্দুল মালেককে খবর দিলে তিনি এসে আহত মেয়েকে নিয়ে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন।
সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি (বুধবার) আঁখি আক্তার জানান মির্জাপুর মেঘনা লিঃ নামে কার্টুন ফ্যাক্টুরীতে তিনি শ্রমিকের কাজ করেন। গত রোববার ৮ অক্টোবর তিনি মাসিক বেতনের ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। দুপুরে খাবারের জন্য ফ্যক্টরীর বাইরে আসলে আচমকা তার মুখে কাপড় গুজে দিয়ে বাটাজোর গ্রামের শামছুল হকের ছেলে শাহাব উদ্দীন ও তার কয়েক সহযোগী জোরপূর্বক মাইক্রোতে উঠিয়ে বাটাজোর গ্রামে শাহাব উদ্দীনের বাড়ীতে নিয়ে ঘরে আটকে রেখে বেদম মারপিট করে। উল্লেখ্য ২০০৯ সালে বাটাজোর গ্রামে সদর আলীর ছেলে আল মামুনের সাথে আখি আক্তারের বিয়ে হয়।
নাঈম (৭) নামে তাদের এক সন্তান রয়েছে যাকে নিয়ে আখি তার পিত্রালয়ে অবস্থান করছে। গত এক বছর যাবৎ আঁখি আক্তার ও তার স্বামী আল মামুনের মধ্যে যৌতুক ও দাম্পত্য কলহের কারনে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এরই জের ধরে রোববার শাহাব উদ্দীন ও আল মামুন সখিপুর উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের মৃত দরবেশ আলীর ছেলে লাল মাহমুদের সহযোগিতায় আখিকে উঠিয়ে নিয়ে আসে। বাড়ীতে এনে তার উপর শারিরিক নির্যাতন চালিয়ে আহত করে জিনিষপত্র ছিনিয়ে নেয়।
এ ব্যাপারে ভালুকার কাচিনা ইউনিয়নের বাটাজোর গ্রামের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার নূরুল ইসলাম ও চৌকিদার আলিম উদ্দীন জানান ঘটনার দিন লোক মারফত খবরপেয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় তারা শাহাবদ্দীনের বাড়ী থেকে আখি আক্তারকে উদ্ধার করেন। এব্যাপারে ভালুকা উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান লিটন জানান তিনি ঘটনা জানার পর মেম্বার ও চৌকিদারের সাহায্যে ওই মেয়েকে উদ্ধার করে তার অভিভাবকের নিকট পৌছে দিয়েছেন।
You cannot copy content of this page