• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১৯ অপরাহ্ন

একাই দেশ ছাড়লেন প্রধান বিচারপতি

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭

অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তবে তার সঙ্গে স্ত্রী সুষমা সিনহার যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি যাননি বলে জানা গেছে।
 

রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি একাই ঢাকা ছাড়েন বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ।

এর আগে প্রধান বিচারপতি বিমানবন্দরে যাওয়ার উদ্দেশে রাত ৯টা ৫৬ মিনিটে স্ত্রী সুষমা সিনহাকে নিয়ে বাসা থেকে বের হন। ১০টা ৩০ মিনিটে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট দিয়ে তিনি বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন।

পরে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের ফ্লাইট এসকিউ ৪৪৭-তে চেপে তিনি একাই সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা আছে তার।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রধান বিচারপতিকে বহনকারী ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় শনিবার ভোর ৬টায় সিঙ্গাপুরে পৌঁছাবে। সেখানে ৪৫ মিনিট যাত্রাবিরতি করে রওনা হবে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে। সিঙ্গাপুর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছাতে প্রায় সাত ঘণ্টা লাগে।

প্রসঙ্গত, উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নেয়া সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় দেয়ার পর থেকে বিচার বিভাগের সঙ্গে সরকারের এক ধরনের টানাপোড়েন শুরু হয়, যা পর্যায়ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে প্রকাশ্যে আসে।

উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাস হয়, যা ষোড়শ সংশোধনী হিসেবে পরিচিত।

নয়জন আইনজীবীর রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ৫ মে সংবিধানের ওই সংশোধনী ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে রায় দেন। গত ৩ জুলাই আপিল বিভাগও ওই রায় বহাল রাখেন। যার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ পায় ১ আগস্ট। রায়ের পর্যবেক্ষণের এক স্থানে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘মানবাধিকার ঝুঁকিতে, দুর্নীতি অনিয়ন্ত্রিত, সংসদ অকার্যকর, কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।’ ৭৯৯ পৃষ্ঠার রায়ে সরকার, সংসদ, রাজনীতি, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, সামরিক শাসন এবং রাষ্ট্র ও সমাজের বিভিন্ন বিষয়ে এমন অনেক পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে।

এরপরই প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার দেয়া পর্যবেক্ষণের তীব্র সমালোচনা করেন সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা। এমনকি কোনো কোনো মন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতারা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে সরব হন। পাশাপাশি রায়ে প্রধান বিচারপতির দেয়া পর্যবেক্ষণও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রত্যাহারের দাবি জানান। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বেশ কিছুদিন ধরে এ বিষয়টি নিয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page