• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার শ্যালকের প্রার্থীতা প্রত্যাহারে টেলিফোন নির্দেশ নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরার আহ্বান রাষ্ট্রপতির দেশে হিট অ্যালার্ট জারি, শঙ্কায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর দাবি ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্ব প্রতিক্রিয়া নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার সিদ্ধান্ত আইসিসি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা ইসফাহানে ‘বিস্ফোরণের’ শব্দের কারণ জানালো ইরান এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা কারাগার: রিজভী রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা রাজনৈতিক নয়: প্রধানমন্ত্রী

সাতক্ষীরা শহরের অলি-গলিতে আবাসিক হোটেলের নামে গড়ে উঠেছে মিনি যৌন পল্লী দেখার কেও নেই

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৭

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ॥ শহরে দিনের পর দিন অলিতে গলিতে আবাসিক হোটেল নামে গড়ে উঠেছে মিনি যৌন পতিতা পল্লী। বড় বড় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে হোটেলের বিভিন্ন নাম দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা দেহ ব্যবসা। ফলে বাড়ছে সামাজিক অব্যক্ষয়, ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে যুব সমাজ। অল্প সময়ে অতি লাভ জনক এই ব্যবসায় হওয়ায় একটি হোটেলের মালিক থেকে একাধিক হোটেলের মালিক বনেছেন তারা। অনেক হোটেল ব্যবসায়ীরা পাল্লা দিয়ে এই লাভ জনক ব্যবসা বহুল তরিয়াতে চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে আইন প্রয়োগ কারি সংস্থ্যার সদস্যদের মাসে মাসে টাকা আদায়ের মাঝে মাঝে লোক দেখানো অভিযান চালান হয় । সীলগালা করা হয় হোটেল, কয়েক দিন পর তা খুলে দেওয়া হয় সীলগালা হোটেল আগের মত শুরু হয় পতিতা ব্যবসা। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দালালদের মাধ্যমে অল্প বয়স্ক তরুনী যৌন কর্মী এনে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে এই দেহ ব্যাবসা। নাম বলতে অনিচ্ছুক এক যৌন কর্মী এই প্রতিনিধিকে জানান,তার এক সপ্তাহার থাকার কন্টাক থাকলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোর করে আটকে রেখে আরো কয়েক দিন থেকে আরো বেশি টাকা আয় করে দিতে হবে। এমনকি কথা না শুনলে ম্যানেজারের কাছে তার কাজের পাওনা টাকা না দেওয়ার হুমকি দেয়। শুধু তাই নয় অনেক যৌন কর্মী ভুক্ত ভূগীদের অভিযোগ মানুষ নামের এই কষাই হোটেল মালিকরা তাদের দেহ বিক্রীর টাকা আতœসাৎ করারও অভিযোগ রয়েছে একাধিক। আল্প দিনে এসব পতিতালয়ের মালিক কোটিপতি বনে গেছেন। বাংলাদেশ সরকারের আবাসিক হোটেলের যে সব আইন বিধিমালা রয়েছে, তা উপেক্ষা করেই চালিয়ে যাচ্ছে আবাসিক নামে প্রকাশ্য দেহ ব্যবসা। জেলা প্রাশাসকের অনুমতি এবং পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স সরকারি আইন সংস্থার কাগজ পত্র অবৈধ্য থাকলেও তারা জেন কোন কিছুই তোয়াক্কা না কোরেই বহুল তরীতে চালিয়ে যাচ্ছে এই ঘৃন্য জঘন্ন দেহ ব্যাবসা। প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার এবং একটি প্রভাবশালী মহলের মদদকে তরীয়াতে চালিয়ে যাচ্ছে আবাসিক নামে দেহ ব্যবসা। এ যেন বাজারের পণ্যের মত ডেকে ডেকে খরিদ্দারের প্রতিযোগিতায় নেমেছে তারা। হোটেলের সামনেই দুই জন করে কর্মচারী দিয়ে খরিদ্দার কন্টাক করার জন্য নিয়যিত রয়েছে। শুধু তাই নয় তারা আবার গোয়েন্দা বেশে নিয়োজিত রেখেছেন। এভাবেই বিভিন্ন কৌশলে তারা অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে এই দেহ ব্যবসা। তাইতো সচেতন মহলের প্রশ্ন এদের পিছনে কারা ? উত্তর জানা থাকলেও বলার এবং প্রতিবাদের কোন ভাষা নেই। কারন খারাপের সংখ্যায় বেশি। প্রতিবাদের সাহস যান তারা হারিয়ে ফেলেছে। সাতক্ষীরা সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় পার্শ্ববর্ত উপমহাদেশ ভারত থেকে অবাধে আসছে বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য।এসব সেবন করেই অল্প বয়সের তরুন তরুণী আজ পতিতালয় যেয়ে লিপ্ত হচ্ছে যৌন মিলনে। হাত বাড়ালে মাদক, পা বাড়ালে পতিতালয়। এ যেন মাদক ও যৌন পতিতালয় শহর হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে আজকের এই সাতক্ষীরা। উল্লেখ্য সাতক্ষীরার বাস টার্মিনাল সংলগ্ন সাতক্ষীরা আবাসিক হোটেলের সাইনবোর্ডর নাম দিয়ে রমরমা ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে দেহ ব্যবসা। যার মালিক গফুর, যার জীবন শুরু হয় বাদাম বিক্রি, পরে রিক্সা চালক এবং পরে থানায় দালালী। বর্তমানে তার সিটি কলেজ মোড় এলাকায় নয়ন ছাত্রাবাস নামক আলিশান বাড়ি এবং একাধিক হোটেল ও মৎস্য ঘের এবং বিপুল পরিমান সম্পাদের পাঁহাড় গড়েছেন। তারি ছোট ভাই আব্দুল আজিজও পাল্লা দিয়ে গড়ে তুলেছেন, খুলনা রোড সংলগ্ন পাউয়ার হাউজের পার্শে আর এক পতিতালয়। এই পতিতালয়ে তিন জোন পার্টনারে আবাসিক হোটেলের নাম নেই। নেই কাগজ পত্র, খোড়া গফ্ফারের তিন তলা এক টি বিল্ডিং ভাড়া নিয়ে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে দেহ ব্যবসা। তারও উদ্দেশ্য ভাইয়ের মত কোটি পতি হওয়া। শুধু এখানেই শেষ নয় বাস টার্মিনাল যশোর রোড সংলগ্ন গড়ে উঠেছে গফুর সে নিজেকে সরকার দলীয় নেতা বলে দাপট দেখিয়ে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে এই দেহ ব্যবসা। এভাবেই গড়ে উঠেছে শহরে ব্যাঙের ছাতার মত অলিতে গলিতে আবাসিক হেটেল নামে পতিতালয়। যা নাম বলে শেষ করা যাবেনা। এ ব্যাপারে আবাসিক নামে পতিতালয় যৌন ব্যবসা বন্ধের দাবীতে জেলা প্রশাসক সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন স্মারক লিপি দিলেও তার কোন সুফল পাইনি সাধারন মানুষ। বিভিন্ন সময় এই সব পতিতালয় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে হোটেলটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। দিন কয়েক যেতে না যেতেই তা আবার খুলে দেওয়া হয়। তাহলে লোক দেখানোই কী এই সিলগালা। প্রশ্ন সাধারন মানুষের। এজন্য কথায় আছে ঠাকুর ঘরে কেরে, কলা আমি খাই নি। প্রসঙ্গটি এখানেই বিদ্যমান। শুধু এখানেই শেষ করা যাবেনা। এই অসামাজিক ঘৃর্ণ ব্যবসা বন্ধ না হলে সাতক্ষীরার সামাজিক অবস্থান ও সুন্দর বনের গা ঘেষা নীলা ভূমি সাতক্ষীরার অহংকার এক সময় মুছে যাবে। হরিয়ে যাবে তরুন প্রজন্মের উজ্জল ভবিষ্যত। সাতক্ষীরার ঐতিহ্য গ্রাম বাংলার মাটি মানুষের ও তরুন প্রজন্মের কথা ভেবে এই ধরনের অসমাজিক হোটেল ব্যবসার অন্তারালে যৌন পতিতা ব্যবসা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সাতক্ষীরার সামাজিক আন্দোলন কমিটি ও সচেতন নাগরিক।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page