• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:১৮ অপরাহ্ন

ফলো-আপ প্রকাশ্যে মানুষ কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় কোন গ্রেফতার নাই

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৭

বাগেরহাট প্রতিনিধি॥
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের একটি বাজারে প্রকাশ্যে দিবালোকে মানসুর শেখ (৩৫) নামের ব্যাক্তি কে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যার ঘটনায় কোন সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়নি। আর এ হত্যাকান্ডের নেপথ্যে স্থানীয় কোন্দল থাকায় এবং নিহত মানসুর সেখ একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী হওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যšত কেহ থানায় মামলা করেনি। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে পুর্ব শত্রু
তার জের ধরে মানসুরকে হত্যা করা হয়েছে। মোড়েলগঞ্জ থানা পুলিশও একই দাবী করেছে। নিহত মানসুর পার্শ^বর্তি রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ছোট কুমারখালী গ্রামের মৃতঃ বারেক শেখের ছেলে। তিনি চাঞ্চল্যকর গোলাম রসুল হত্যা মামলার একজন স্বাক্ষী ছিলেন। গোলাম রসুল হত্যা মামলার আসামীরা তাকে হত্যা করতে পারে বলে একটি পক্ষ দাবী করেছে। এদিকে বুধবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে নিহতের মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের বড় ভাই মোঃ ফারুক শেখ সাংবাদিকদের জানান, বৌলপুর বাজার থেকে বাজার করে বাড়িতে যাওয়ার সময় ৮/১০ জন সন্ত্রাসী হঠাৎ করে মানসুরকে এলোপাতাড়ী কোপাতে থাকে। এ সময় তিনি তার ভাইকে রক্ষার জন্য ছুটে যেতে থাকলে ৩/৪ জন সন্ত্রাসী তাকে ধরে রাখে। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে সন্ত্রাসীরা মানসুরকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে, গলা ও পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে বীরদর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তিনি প্রায় সব হত্যাকারীকে চিনতে পেরেছেন বলে দাবী করেন। তিনি বলেন, স্থানীয় কোন্দলের কারনে তার ভাইকে একের পর এক মামলা দিয়ে সন্ত্রাসী বানানো হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় এক জন প্রতিনিধির নির্দেশে ফরিদ বাহিনীর সদস্যরা তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে। নিহতের অপর ভাই মিন্টু শেখ বলেন, তার ভাই মানসুর শেখ গোলাম রসুল হত্যা মামলার অন্যতম স্বাক্ষী। ওই হত্যা মামলার আসামীরা স্বাক্ষীদের আদালতে স্বাক্ষী দিতে যেতে বাধাঁ দিত। তার ভাই মানসুর সাহসিকতার সাথে ওই সব স্বাক্ষীদের নিয়ে আদালতে যেতেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করা হতে পারে। তার বিরুদ্ধে যেসব মামলার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো প্রায় সব রাজনৈতিক মামলা বলে তিনি দাবী করেন। হোগলাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম নান্না মুঠোফোনে বলেন, বৈলপুর বাজারের রাস্তায় অজ্ঞাত ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা আমাকে খবর দেয়। আমি সেখানে গিয়ে দেখি তার গলাসহ শরীরের একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। পরে আমি পুলিশকে খবর দেই। নিহত মানছুর পার্শ^বর্তি রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ছোট কুমারখালী গ্রামের বাসিন্দা। তবে ওই হত্যাকান্ডের পর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে বাজারের সব ব্যবসায়িরা দোকানপাট বন্ধ করে চলে যান। ফলে মানছুরকে কারা হত্যা করেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুল আলম বলেন, মানসুরকে অজ্ঞাত সন্ত্রসীরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। তার গলায়, পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও পায়ের রগ কাটা ছিল। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page