• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন

রাখাইনে বল প্রয়োগ বন্ধে নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বান

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৭

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জাতিগোষ্ঠীর ওপর সেনাবাহিনীর বলপ্রয়োগ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের সোমবার নিরাপত্তা পরিষদে অবসানে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স একটি প্রস্তাব পাসের উদ্যোগ নিলেও মিয়ানমারের দুই মিত্র দেশ ভেটো ক্ষমতার অধিকারী রাশিয়া ও চীনের কারণে তা শেষ পর্যন্ত বাদ দেওয়া হয়।
এর বদলে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতভাবে একটি বিবৃতি দেয়, যেখানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে- রাখাইন রাজ্যে যাতে সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বন্ধ করা হয়, মিয়ানমার সরকারের প্রতি সেই আহ্বান জানাচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদ।
সেই সঙ্গে রাখাইনে বেসামরিক প্রশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে এবং মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকার ও দায় পূরণে মিয়ানমার সরকারকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
আইনের শাসন ও মানবাধিকার নিশ্চিত করে সকল নাগরিককে রক্ষা করা যে রাষ্ট্রের দায়িত্ব, সে কথাও মিয়ানমার সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ।
সেই সঙ্গে রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে মিয়ানমার সরকারের প্রতি।
উল্লেখ্য, বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরুর পর গত ২৫ অগাস্ট থেকে সোয়া ছয় লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। গত দশ সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে ওই সহিংসতাকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে চিহ্নিত করে এর সমালোচনা করে আসছে জাতিসংঘ। তবে মিয়ানমার সরকার কোনো ধরনের জাতিগত নির্মূল অভিযান চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
এদিকে বিতর্কের মুখেও মিয়ানমার সরকার জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনকে রাখাইনের ওই অঞ্চলে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। সেখানে সাংবাদিকদের যাওয়ারও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তবে সহিংসতা শুরুর দুই মাসেরও বেশি সময় পর গত ২ নভেম্বর রাখাইনের ওই অঞ্চলে গিয়ে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি ‘বিবাদ বন্ধের’ আহ্বান জানান।
তিনি বলে আসছেন, যারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তারা রাখাইনে বসবাসের প্রমাণ দেখাতে পারলেই মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নেবে।
অন্যদিকে রাখাইনে মানবিক সঙ্কট এবং বাংলাদেশমুখী শরণার্থীর স্রোত বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নিরাপত্তা পরিষদ বলেছে, এই পরিস্থিতি পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। রাখাইনে অবিলম্বে নির্বিঘ্নে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর এবং সাংবাদিকদের সেখানে যাওয়ার সুযোগ দিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের এই সংস্থা। পাশাপাশি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে ৩০ দিন পর মিয়ানমারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সিনহুয়া/ রয়টার্স।
Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page