• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ইউপি চেয়ারম্যানরা পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন : হাইকোর্ট  রুমা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৭ জন কারাগারে পদ্মায় নদীতে গোসল করতে নেমে ৩ মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রপতি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে : ওবায়দুল কাদের মোস্তাফিজ চলে গেলে খারাপ লাগবে চেন্নাইয়ের বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা যুক্তরাষ্ট্রের বৃষ্টির জন্য শায়খ আহমাদুল্লাহর ইমামতিতে নামাজ আদায় স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবি পার্শ্ববর্তী দেশকে দিয়েছে সরকার: রিজভী ইসরাইলকে হুঁশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানান ইরান

স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন ও গ্রহণযোগ্যরাই আগামীতে মনোনয়ন পাবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সভায় প্রধানমন্ত্রী

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন ও গ্রহণযোগ্য নেতারাই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন। আর দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এদিকে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর বড় ব্যবধানে হারের কারণ খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। গতকাল শনিবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সভায় সভাপতির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বৈঠকে উপস্থিত একজন জানান, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে করানো সর্বশেষ জরিপেও বলা হয়েছিল, অন্তর্কলহের নিরসন করা না গেলে জাতীয় পার্টি ভালো করবে। তবে এত বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কেন হারল, সেটা খুঁজে বের করা প্রয়োজন।

বৈঠকে উপস্থিত একজন নেতা জানান, আওয়ামী লীগের প্রার্থী হারলেও রংপুরে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায়  সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। তবে রসিক নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বড় ব্যবধানে পরাজয়কে অপ্রত্যাশিত হিসেবে বিবেচনা করছে আওয়ামী লীগ। জানা গেছে, রসিকে প্রার্থী নির্বাচনে ভুল ছিল কিনা, কারা দলীয় প্রার্থীকে অসহযোগিতা করেছেন, এসব বিষয়েও প্রতিবেদন দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বৈঠকে নেতাকর্মীদের ‘ওভার কনফিডেন্ট’ (অতি আত্মবিশ্বাস) হতে নিষেধ করেছেন বলেও জানান দলের প্রেসিডিয়াম এক সদস্য।

জানা গেছে, বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়েও এখন থেকে প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডের পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াতের ভয়াল নাশকতা, দুর্নীতি, দুঃশাসন, আগুন সন্ত্রাস, খালেদা জিয়াসহ জিয়া পরিবারের বিদেশে অর্থ পাচার ও মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার প্রকৃত চিত্রও ভোটারদের সামনে তুলে ধরতে হবে।

এদিকে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী প্রচারণায় নামবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় টিম। প্রেসিডিয়াম সদস্য, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে একাধিক টিম গঠন করা হবে। এসব টিম জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সফর করে অবস্থা বুঝে জনসভা, গণসংযোগ চালাবে। জনগণের কাছে দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি প্রার্থী বাছাইয়ের কাজও করবে উল্লিখিত টিম। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের অংশ হিসেবে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের প্রত্যেকে একেকটি সাংগঠনিক বিভাগের দায়িত্বে থাকবেন। কে  কোন বিভাগের দায়িত্বে থাকবে, তা ঠিক করতে সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন বছরের ‘প্রথম সপ্তাহ’ থেকেই এই সাংগঠনিক সফর শুরু হবে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরই আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। প্রেসিডিয়ামের একজন সদস্য বলেন, ‘৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র রক্ষদিবস পালন করা হবে। এছাড়া ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসেরও অনুষ্ঠান থাকবে দলের। সেখানে বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র ফোকাস পয়েন্টে থাকবে। এখন থেকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র বার বার জনগণের সামনে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সভায়।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থী নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান একজন কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দেওয়া হবে। আমাদের কাছে অনেক প্রার্থীর নাম এসেছে। কিন্তু নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পরই আমরা প্রার্থীর নাম ঘোষণা করব। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হওয়ার মতো প্রার্থী দেওয়া হবে। আর তাকে জয়ী করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে নেতাদের নির্দেশ দেন তিনি।’ এদিকে আগামী ১২ জানুয়ারি সরকারের চার বছর পূর্তিতে জনসভা করার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। ওই জনসভায়ও সরাকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরার বিষয়ে কথা হয়। পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার বিষয়টিও তুলে ধরার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে জরিপ চলছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই জরিপের ভিত্তিতেই মনোনয়ন দেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররাফ হোসেন, ড. আব্দুর রাজ্জাকসহ দলের অধিকাংশ প্রেসিডিয়াম সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page