• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
এমন ঘটনা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়, সুষ্ঠু বিচার চাই: রিয়াজ নাটোরে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি-সম্পাদককে অব্যাহতি ইরানে হামলা হলে ইসরায়েলকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হবে: প্রেসিডেন্ট রাইসি ব্যক্তিগত বিষয়গুলো টেনে আনা লজ্জাজনক: অপু বিশ্বাস কক্সবাজারগামী ঈদ স্পেশাল ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ২ বগি লাইনচ্যুত ২০২৫ সালে এসএসসি পরীক্ষা ৫ ঘণ্টা নেয়ার বিষয়ে যা জানালো এনসিটিবি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা কমান্ডার আরাফাত র‌্যাবের নতুন মুখপাত্র উত্তেজনার মধ্যেই ইরান সফরে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি দল থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

সিলেট-২ আসন অনিশ্চয়তায় এহিয়া ॥ বিএনপিতে প্রার্থী লুনা

আপডেটঃ : বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭

সিলেট অফিস॥ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ইয়াহহিয়া চৌধুরী এহিয়া। তিনি সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য। জেলার বিশ্বনাথ, ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জের একাংশ নিয়ে গঠিত এ আসন থেকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে আসন ভাগাভাগির কারণে তার বিজয়ী হওয়ার পথে কোন বাধা ছিলনা। তবে এবার তিনি রয়েছেন অনিশ্চয়তা। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার বাধা হয়ে দাঁড়াবেন খোদ মহাজোটের প্রধান দল আওয়ামী লীগের দুই প্রভাবশালী নেতা। যারা এই আসনে প্রার্থী হতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা হচ্ছেন- বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

এদিকে, ২০১২ সালে ঢাকা থেকে নিখোঁজ হয়ে যান বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী। তার নিখোঁজের পর এ আসনে বিএনপির হাল ধরেছেন তারই সহধর্মিণী তাহসিনার রুশদী লুনা। আগামী নির্বাচনে লুনা এ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন- এটা প্রায় নিশ্চিত। লুনার নেতৃত্বে সিলেট-২ আসনের নির্বাচনে তিন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। পাশাপাশি ইউনিয়ন নির্বাচনেও চমক দেখিয়েছেন। এখন সাংগঠনিক ভাবেও ওই আসনে বিএনপি অনেক শক্তিশালী। ইলিয়াসের ইমেজের উপর নির্ভর করে লুনা এ আসনে প্রার্থী হলে বাজিমাত করবেন- এমনটি মনে করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। লুনাও গোটা আসনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে নির্বাচনে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।

জানা যায়, সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ এ আসনটিতে গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিন দলের প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে এই আসনটির একক দখলদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ২০০১ সালে এ আসনে এমপি হয়েছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এম ইলিয়াস আলী। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে আসন ভাগাভাগিতে এমপি নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ইয়াহহিয়া চৌধুরী এহিয়া। ফলে এই আসনটি এবার পুনরুদ্ধার করতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে তুমুল প্রতিযোগিতা চলছে।

এ আসনের বর্তমান এমপি ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ইয়াহহিয়া চৌধুরী এহিয়া এবারও প্রার্থী হতে জোর লবিং চালাচ্ছেন। দলের হাই কমান্ডের কাছে তিনি বেশ গ্রহণযোগ্য প্রার্থী। খোদ দলের চেয়ারম্যান আলহাজ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পছন্দের প্রার্থী তিনি। ২০১৪ সালে এহিয়া নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে। ওই সময় মহাজোটের স্বার্থে আওয়ামী লীগের তখনকার সময়ের এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি জাতীয় পার্টিকে আসনটি ছাড় দিয়েছিলেন। তবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের সঙ্গে নির্বাচন করে এমপি হতে হয়েছে এহিয়াকে। এবার মহাজোটকেন্দ্রিক নির্বাচন হলে জাতীয় পার্টি এ আসনটি চাইবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ