• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন

নির্মানের মাত্র ১১ বছরের মাথায় ভবনের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল ৪ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত শিল্পকলা একাডেমি ঝুকিপূর্ণ

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭

মোঃ সোহরাব হোসেন রতন (বাগেরহাট) প্রতিনিধি॥
বাগেরহাট শহরের ব্যাস্ততম দশানী মোড় এলাকায় প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত বাগেরহাট জেলা শিল্পকলা একাডেমির অবস্থা এখন ঝুকিপূর্ণ। ২০০৬ সালে নির্মিত মাত্র ১১ বছর এ ভবনটিতে ইতি মধ্যেই দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। আর এ একাডেমি ভবনে থাকা আধুনিক প্রযুক্তি আর বড় পর্দা দিয়ে ৭শ ৫০ আসন ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন হল টি ও এখন করুন অবস্থায়। প্রয়োজনীয় বরাদ্ধের অভাবে একাডেমি ভবনে কোন উন্নয়ন ও মেরামতের আচড় পড়েনি। এমন কি দীর্ঘ ১১ বছরেও এ একাডেমি ভবনটিতে উল্লেখ যোগ্য জাতীয় পর্যায়ের বা সামাজিক কোন অনুষ্ঠান হতে দেখা যায়নি । ১৯৯৪ সালের ১৪ জুলাই তৎকালিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ,এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপিকা জাহানারা বেগম বাগেরহাট শহরের দশানী ট্রাফিক মোড় এলাকায় ০.৬৭ একর জমির উপর এ একাডেমি ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তিতে ২০০৬ সালে এ একাডেমি ভবনের নির্মান কাজ সম্পন্ন হলে ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট-২ আসনের তৎকালিন সংসদ সদস্য এম.এ.এইচ সেলিম এ একাডেমি ভবনের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর সেই সময়ে জেলার নব নির্মিত এ শিল্পকলা একাডেমিতে জেলার শিল্পি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের পদচারনায় কিছু দিন সরগম হয়ে উঠলেও তার কয়েক বছরের মধ্যেই ধীরে ধীরে শিল্পকলা একাডেমি তার যৌলুস হারাতে শুরু করে। বর্তমানে এ একাডেমিতে কার্যক্রম বলতে সংঙ্গীত, নিত্য, আবৃত্তি, তবলা ও চারুকলা প্রশিক্ষন বিভাগে নাম মাত্র ১শ ৫৬ জন ছাত্র-ছাত্রী আছে। জাতীয় বা অন্যান্য অনুষ্ঠান গুলো স্বাধীনতা উদ্যান বা পুরাতন শিল্পকলা একাডেমিতে ভবনে করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার অনেকে জানান ভবনের দায়ীত্বে থাকা লোকজনেরা এই ভবন টি কে গোডাউন হিসাবে ব্যবহার করছে।এ বিষয়ে কথা হলে বাগেরহাট কালচারাল অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০০৬ সালে নতুন এ শিল্পকলার একাডেমি ভবন নির্মানের পর কতৃপক্ষের নজর দারি আর উদ্যোগ না থাকায় প্রশাসনিক ভবনের একাধিক স্থানে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। অডিটরিয়ামের হল রুমের মঞ্চ সংলগ্ন দেয়ালে একটি ভয়াবহ ফাটল ও দেখা দিয়েছে, যেটি অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া আমাদের যে হল রুমটি রয়েছে সেটি দীর্ঘদিন ধরে তার নাজুক অবস্থায়। হল রুমের সাউন্ড সিস্টেম, লাইটিং ও পর্দা অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। নিজস্ব হল রুম থাকতে জাতীয় বা অন্যান্য অনুষ্ঠান গুলো স্বাধীনতা উদ্যান বা পুরাতন শিল্পকলা একাডেমিতে কেন করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শহর থেকে একটু দূরে হওয়ার কারনে এ এলাকাটি কোন সাংস্কৃতিক পল্লী গড়ে ওঠেনি, যে কারনে এখানে কোন অনুষ্ঠান করলে শিল্পি বা অন্যান্য লোকজন আসতে চায় না। এ কারনে জাতীয় বা অন্যান্য অনুষ্ঠান গুলো স্বাধীনতা উদ্যান বা পুরাতন শিল্পকলা একাডেমিতে করা হয়।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page