• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন

সরিষা চাষে বাম্পার ফলন

আপডেটঃ : রবিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৮

রংপুর অফিস॥
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার তিস্তা নদীর  চরাঞ্চলে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া সরিষাসহ বিভিন্ন উফশি জাতের ফসল চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকরা। অন্য ফসল আবাদের চেয়ে সরিষা অনেক  লাভজনক আবাদ হওয়ার কারনে কৃষকরা নতুন করে সরিষা  চাষে ঝুঁকে পড়েছে। এ আবাদে সেচ এবং সার দিলে  আবাদ ভাল হয় গত মৌসুমে পীরগাছা উপজেলায় সরিষা  চাষাবাদের লক্ষ্যমাএা নির্ধারন করা হয়েছে ৭৫০ হেক্টর। চলতি মৌসুমে উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে  লক্ষ্যমাএার চেয়ে অধিক জমিতে সরিষা চাষাবাদ করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির যুগে উন্নত মানের সরিষা বীজ দিয়ে চাষাবাদ আবাদ করে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার আশা করছেন কৃষকরা। জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগেই কৃষকরা সরিষা  চাষাবাদ প্রায় ছেড়েই দিয়েছিল কিন্ত উন্নত মানের সরিষার বীজ হাতের নাগালে পাওয়ার কারনে এই ফসল চাষাবাদে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় বিগত দুই এক বছর আগে থেকে আবারও এই চরাঞ্চলের  মধ্যে কৃষকরা কম বেশী সরিষা চাষবাদ শুরু করেছে এতে তাদের ফলন ও ভাল  হয়েছে।
সরিষা এর  আবাদ  খরচের দিক থেকে অনেক সাশ্রয়ী হওয়ায়  পীরগাছা উপজেলার কৃষি সম্প্রসারন অদিদপ্তর ব্যয়বহুল ফসল চাষাবাদ কমিয়ে সরিষাসহ বিভিন্ন জাতের উফশি ফসল চাষা আবাদের উপর জোর দেওয়ার জন্য বিগত কয়েক বছর যাবৎ কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে আসছেন।  যথারিতী কৃষি বিভাগ এর সুফল পেয়েছে। উপজেলার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, বিগত বছর গুলোর চেয়ে এবছর চলতি মৌসুমে সরিষা চাষ লক্ষ্যমাএা অতিক্রম করেছে ৯০০ হেক্টর। পীরগাছা উপজেলার কিশামত ছাওলা, খাশের চর, চর রহমত,শিবদেব চর,কাশিম,আদম সবুজ পাড়া, সরিষা চাষি মোহাম্মদ আলী,মোসলেম উদ্দিন, মুনছুর আলম,রবিউল ইসলাম,আবু বক্কর সিদ্দিক,কেরামত আলী,     জানায়, অন্য ফসল আবাদের চেয়ে সরিষা আবাদের খরচ অনেক কম কারন শুধুমাত্র সেচ আর সার প্রয়োগেই সরিষা আবাদ ভাল হয়। এছাড়াও নিরানি ও   কীটনাশক  তেমন  একটা  প্রয়োজন হয় না। এবছর  তারা তাদের  আবাদকৃত জমিতে সরিষা চাষে  ভাল ফলন আশা করছেন। এদিকে উপসহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষন অফিসার মোঃ আব্দুল লতিফ, আনসার আলী,হারুন-আর রশিদ বলেন।  এই বছরে সরিষার জীবন কাল থেকে শুরু করে ৯০ দিনে সরিষা চাষ আবাদ করে বাম্পার ফলনের  সম্ভাবনা রয়েছে। পীরগাছা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহেদুল হক চৌধুরী জানায়, গত বছরের চেয়ে এ বছর সরিষা আবাদ ১০ থেকে ১৫%  বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে দেশের  সরিষার চাহিদা অনেকটা পুরন হবে। তাছারা কৃষকরা অন্য আবাদ এর চেয়ে কম সময়ে আর্থিক ভাবে বেশি লাভবান হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ