• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:০৭ অপরাহ্ন

ডিএমপি থেকে ডিআইজি মিজানকে প্রত্যাহার

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৮

নৈতিক স্খলন ও অস্ত্রের মুখে এক এক নারীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পুলিশ সপ্তাহ-২০১৮ -এর ক্রীড়া প্রতিযোগতা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল একথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমানের নৈতিক স্খলনের কথা জানতে পেরেছি। তবে এ ব্যাপারে তদন্তের পর জানতে পারবো, আসলে সে কতটা দোষী। আর এটার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আমরা তাকে ডিএমপি থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করেছি।
কাকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি হচ্ছে ? – সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, বর্তমানে পুলিশ সপ্তাহ চলছে। দুই-একদিন পর আইজিপি-ডিএমপি কমিশনারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি করে তদন্ত কাজ শুরু করা হবে।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের বিষয়ে পুলিশের তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে কী না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেন হবে না।
তিনি আরও বলেন, কোনো ব্যক্তির দায় বাহিনী নেবে না। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। পুলিশের অনেক সদস্যও বিভিন্ন অপরাধে কারাগারে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে একটি জাতীয় দৈনিককে এক নারী বলেন, পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালের কাছে তার বাসা। গত বছরের জুলাইয়ে সেখান থেকে কৌশলে তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। পরে বেইলি রোডের মিজানের বাসায় নিয়ে তিনদিন আটকে রাখা হয়েছিল তাকে।
ওই নারীর দাবি, আটকে রাখার পর বগুড়া থেকে তার মা’কে ১৭ জুলাই ডেকে আনা হয় এবং ৫০ লাখ টাকা কাবিননামায় মিজানকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। পরে লালমাটিয়ার একটি ভাড়া বাড়িতে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রাখেন আগে থেকেই বিবাহিত মিজান।
ওই নারীর অভিযোগ, কয়েক মাস কোনো সমস্যা না হলেও ফেসবুকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি ছবি তোলার পর ক্ষিপ্ত হন মিজান। ভাঙচুরের ‘মিথ্যা’ একটি মামলা দিয়ে তাকে গত ১২ ডিসেম্বর কারাগারে পাঠানো হয়। সেই মামলায় জামিন পাওয়ার পর মিথ্যা কাবিননামা তৈরির অভিযোগে আরেকটি মামলা করানো হয়। ওই মামলাতেও জামিনে বেরিয়ে এসে অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন ওই নারী।
ওই নারীর অভিযোগ, প্রায় চার মাস সংসার করার পর ফেইসবুকে স্বামী পরিচয় দিয়ে মিজানের একটি ছবি তোলার পর মিজান তাকে নানাভাবে নির্যাতন শুরু করেন। দুটি ‘মিথ্যা মামলা’ দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। পরে জামিনে তিনি বেরিয়ে আসেন। তবে মিজান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ওই নারী একজন প্রতারক।
Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page