• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৫ অপরাহ্ন

তিস্তার চরে থামছেনা তামাক চাষ

আপডেটঃ : বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

রংপুর অফিস॥
সরকারের পৃষ্টপোষকতা ও ব্যাংক ঋন না থাকা সত্বেও দিনদিন তামাক চাষে ঝুকে পড়ছে তিস্তার চরাঞ্চলের চাষিরা।
সরেজমিনে উপজেলার চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে কাউনিয়ার তিস্তার চরাঞ্চলে রংপুরের ঐতিহ্যবাহী ফসল তামাকের চাষ কমে আসলেও বর্তমানে বিভিন্ন কম্পানীর অগ্রিম মহাজনী ঋণ প্রদান সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ও ভাল দাম দেয়ায় আবারও তামাক চাষ বাড়ছে। চরাঞ্চল বিশেষ করে হারাগাছ পৌর সভার ধুমগারা, চর চতুরা, নাজিরদহ চর, ছিট নাজিরদহ, প্রাননাথ চরসহ বেশ কিছু গ্রামে আবারও তামাক চাষ করেছে চাষিরা। এলাকার চাষিরা জানায় বেশ কিছু জমিতে চলতি মৌসুমে তামাক চাষ হয়েছে। সরকারী ভাবে পৃষ্টপোষকতা না থাকায় এবং তামাক চাষীদের ব্যাংক ঋন প্রদানে নিষেধাজ্ঞার কারনে কিছুটা কমেছিল কিন্তু তামাক কম্পানী গুলো আগ্রিম টাকা প্রদান সহ ভাল দামে তামাক কেনার প্রতিশ্রুতি প্রদান করায় আবারও নতুন করে অনেকে তামাক চাষ শুরু করেছে। গত বছর চরাঞ্চলে ব্যাপভাবে আলু ও ভুট্ট্রা চাষ করে কৃষক দাম ভাল নাপাওয়ায় এবছর অনেকেই তামাক চাষে ঝুকে পরেছে। তামাক চাষে কৃষকের মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রম হলেও বিক্রয় করতে তেমন কোন বেগ পেতে হয় না। বিশেষ করে পাতা কাটা, শুকানো, প্রক্রিয়াজাত করতে বেশ কষ্ট হলেও তারা দাম ভাল পাওয়ার আশায় আবারও তামাক চাষে ঝুকছে। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় এক সময়  ৬ থেকে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের তামাক চাষ করা হতো। সরকারের নানামূখি উদ্যোগে তা অনেক কমেগেছে কিন্তু কৃষি বিভাগের কিছুটা তদারকীর অভাবের কারনে আবারও তামাক চাষ শুরু হয়েছে। জাত গুলি ছিল মতিহার, কালা মতিহার, গোদরা, ডিবি, বাঁশ দাহ, ছাতাই মতিহার, বাঁশ পাতারী, তালিম, ভার্জিনিয়া সহ নানা জাতের তামাক পাতা চাষ হতো। বর্তমানে কালের আর্বতে বেশ কিছু তামাক জাত হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে মতিহার ও জাতি ডিবি তামাকের চাষ করা হচ্ছে। যেহেতু সরকারী পৃষ্টপোষকতা নেই সেহেতু উপজেলা কৃষি বিভাগে তামাক চাষের লক্ষ মাত্রা  সংরক্ষন করা নেই। তাই এ উপজেলায় কত হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। স্থানীয় কৃষক সূত্রে জানা গেছে এ উপজেলায় এক থেকে দেরশ’ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। পল্লী মারী চরের তামাক চাষী আঃ সাত্তার জানায় গত ২ বছর  থেকে আলু ও ভুট্ট্রার দাম না প্ওায়ায় এবয় তামাকের ভাল দামপাওয়ায় অনেকই তামাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তাই এবছর তামাক চাষ অনেকটা বেড়ছে।
এ ব্যপারে কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সবে নতুন যোগদান করেছি, এখনও সব এলাকা দেখা হয়নি, তবে তামাক চাষে কাউনিয়ার চাষিদের নিরুৎসায়িত করা হচ্ছে। তামাক চাষ না করে তারা যেন অন্য অর্থকারী ফসল চাষ করে সে ব্যাপারে প্রশিক্ষণ, প্রনদনা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ