• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ন

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়   সিএম মিরাজুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষক, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ

 

যোগ্যতাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন-১৬: যৌথবাহিনী গঠনের উদ্দেশ্য কী ছিল?

উত্তর: স্থল, নৌ ও আকাশপথে যৌথভাবে আক্রমণ করে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করাই ছিল যৌথবাহিনী গঠনের মূল উদ্দেশ্য।

প্রশ্ন-১৭: মিত্রবাহিনীর প্রধান কে ছিলেন?

উত্তর: মিত্রবাহিনীর প্রধান ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিত্ সিং অরোরা।

প্রশ্ন-১৮: মিত্রবাহিনী কাদেরকে বলা হয়?

উত্তর: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সহায়তাকারী বাহিনীকে মিত্রবাহিনী বলা হয়।

প্রশ্ন-১৯: মুক্তিফৌজ কী? অথবা, মুক্তিফৌজ কাকে বলে?

উত্তর: বাঙালি সামরিক অফিসার ও সৈন্যদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল মুক্তিবাহিনীর নিয়মিত বাহিনী। এদেরকে বলা হত মুক্তিফৌজ।

প্রশ্ন-২০: মুক্তিযুদ্ধে কারা অংশগ্রহণ করে?

উত্তর: ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালের শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। কৃষক, ছাত্র, শিক্ষক, সশস্ত্র বাহিনীর বাঙালি সদস্যসহ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নারী-পুরুষ সকলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।

প্রশ্ন-২১: মুক্তিযুদ্ধের প্রধান কৌশল কী ছিল?

উত্তর: গেরিলা আক্রমণ ও সম্মুখ যুদ্ধ ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রধান কৌশল।

প্রশ্ন-২২: মুক্তিযুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী ছিল?

উত্তর: সাধারণ মানুষ খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়, তথ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাহায্য দিয়ে মুক্তিবাহিনীকে লড়াই চালিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

প্রশ্ন-২৩: মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল কেন?

উত্তর: মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার জন্য বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল।

প্রশ্ন-২৪: পাকিস্তানি বাহিনীর মূল লক্ষ্য কী ছিল?

উত্তর: পাকিস্তানি বাহিনীর মূল লক্ষ্য ছিল চূড়ান্ত নিষ্ঠুরতার মাধ্যমে বাঙালিদের দমন করা।

প্রশ্ন-২৫: বীরশ্রেষ্ঠ কী?

উত্তর: মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব ও সাহসিকতার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক রাষ্ট্রীয় উপাধি হচ্ছে বীরশ্রেষ্ঠ।

প্রশ্ন-২৬: মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য রাষ্ট্র কর্তৃক কী কী উপাধি দেয়া হয়?

উত্তর: মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য রাষ্ট্র কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের চারটি বীরত্বসূচক উপাধি প্রদান করা হয়। যেমন-বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম ও বীর প্রতীক।

প্রশ্ন-২৭: শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয় কবে?

উত্তর: শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয় ১৪ ডিসেম্বর।

প্রশ্ন-২৮: বুদ্ধিজীবী কারা?

উত্তর: যারা উচ্চশিক্ষিত, জ্ঞানী-গুণী, মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন এবং যাদের কর্ম ও মেধা দিয়ে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান রাখেন তারাই বুদ্ধিজীবী।

প্রশ্ন-২৯: বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয় কেন?

উত্তর: দেশকে মেধাশূন্য করে বাঙালি জাতির স্বাধীন সত্তা ও অগ্রগতিকে ব্যাহত করার জন্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়।

প্রশ্ন-৩০: মুক্তিযুদ্ধে শহিদ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর নাম লিখ।

উত্তর: মুক্তিযুদ্ধে শহিদ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর নাম হচ্ছে- অধ্যাপক গোবিন্দচন্দ্র দেব, অধ্যাপক মুনীর চীেধুরী, ডাঃ আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক রাশীদুল হাসান, ডাঃ আজাহারুল হক ও সাংবাদিক সেলিনা পারভীন ইত্যাদি।

 

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page