• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন

টাঙ্গাইলে পুলিশের সহযোগিতায় চাঁদা দাবির অভিযোগ!

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : সোমবার, ১২ মার্চ, ২০১৮

টাঙ্গাইল প্রতিনি্িধ॥
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকলা গোপাল গ্রামে স্থানীয় থানা পুলিশের এক এএসআইয়ের সহযোগিতায় চাঁদা দাবি করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার(১২ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে ভূঞাপুরের নিকলা গোপাল গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. জহুরুল ইসলাম ওই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে কয়েকজন মুখোশধারী ব্যক্তি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. জহুরুল ইসলামকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় নিকলঅ গোপাল গ্রম থেকে তাড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় এবং এ ঘটনার কথা প্রকাশ করলে খুন করা হবে বলে জানায়।  তিনি কাকুতি-মিনতি করে চাঁদার টাকা দেয়ার জন্য এক মাস সময় নেন। গত ৬ মার্চ মো. জহুরুল ইসলাম বাড়িতে ঘর উত্তোলনের জন্য টিন, খুঁটি, বাঁশ, কাঠ কিনে বাড়ি পৌঁছলে ভূঞাপুর থানার এএসআই মো. রফিকুল ইসলাম এবং নিকলা গোপাল গ্রামের মৃত নবা শেখের ছেলে মো. হবিবর রহমান হবি, মো. হযরত আলীর ছেলে মো. কবির হোসেন ও মৃত গফুর মন্ডলের ছেলে মো. জহির উদ্দিন বাড়িতে গিয়ে ঘর উত্তোলনে বাধা দেয়। ওইদিন ঘর উত্তোলন না করে গত ৭ মার্চ স্থানীয় মাতব্বরদের নিয়ে পরামর্শ করে এএসআই মো. রফিকুল ইসলামের মোবাইলে ফোন করে মুক্তিযোদ্ধা মো. জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা অভিযোগ আছে কি-না জানতে চান। কিন্তু এএসআই মো. রফিকুল উল্লেখিত ব্যক্তিদের চাহিদা মিটিয়ে ঘর উত্তোলন করতে বলেন। অন্যথায় এলাকায় বসবাস করায় সমস্যা হবে বলে জানান। এমতাবস্থায় তিনি টাঙ্গাইলের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০৭ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, পুলিশের এএসআই মো. রফিকুল ইসলামের সহযোগিতায়ই উল্লেখিত ব্যক্তিরা মো. জহুরুল ইসলামের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। লিখিত বক্তব্য পাঠকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মো. আকবর হোসেন(ফাইটন), বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. জহুরুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. রোমেছা খাতুন, ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম, ছেলের বউ মোছা. তাছলিমা খাতুন, গ্রামের মাতব্বর মো. মুনুর উদ্দিন, জহু ও বাদশা মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিণ্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার এএসআই মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মো. কবির হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি নিকলা গোপাল গ্রামে গিয়েছিলেন। চাঁদা দাবির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তাছাড়া চাঁদা দাবি করার বিষয়ে তিনি থানায় কোন অভিযোগও করেন নি।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page