• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৫ অপরাহ্ন

খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন: বিএনপি

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১৮

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া যেন দ্রুত কারাগার থেকে বের হতে না পারেন, সে জন্য ছলচাতুরী করছে সরকার। এমনকি তাঁকে ওকালতনামায় পর্যন্ত সই করতে দিচ্ছে না। খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত করে আদালত যে আদেশ দিয়েছেন, তাতে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে, যাতে তিনি কারাগার থেকে বের হতে না পারেন। তিনি বলেন, সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দল ছাড়া আবার একটি নির্বাচন করতে চক্রান্ত করছে। সে জন্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মূলত সরকার একটা ছক তৈরি করেছে কীভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আজ রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মীর নাসির, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি জয়নুল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, আবদুস সালাম, এ জে মোহাম্মদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, নজরুল ইসলাম মঞ্জু প্রমুখ।
বর্তমান সরকার বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে নির্বাচন ও রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে বহুমুখী ষড়যন্ত্র করছে দাবী করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সেজন্য তাঁকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। এখন তাঁর জামিন দিতেও নানা গড়িমসি করছে। বিগত সেনা সমর্থিত কেয়ারটেকার সরকারের সময় খালেদা জিয়ার নামে চারটি মামলা হয় আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা হয়। কিন্তু খালেদা জিয়ার চারটি মামলা ৩৬টি হয়েছে। আর শেখ হাসিনার ১৫টি মামলার একটিও নেই। এদিকে সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৭৮ হাজার মামলায় ১২ লাখ আসামি করা হয়েছে। সরকার জুলুম-নির্যাতন করছে যাতে বিরোধী দলগুলো কোনো কথা বলতে না পারে। তাহলে তাদের ক্ষমতা ধরে রাখা সহজ হবে।
ফখরুল বলেন, বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করা হয়েছে। বিএনপি লিগ্যাল রিলিফ এবং আইনি সুবিধাও পাচ্ছে না। নির্বাচনের বছরে বিএনপি যখন নির্বাচন করতে চায় তখনই এসব প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে সরকার। বিএনপি নেতাদের মামলার আসামি করতে ছক তৈরি করে তা সারাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি চলবে কি না এমন প্রশ্নে ফখরুল বলেন, আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি চলছে। এটা চলবে। আইনি প্রক্রিয়াও চলবে।’
এসময় মওদুদ আহমদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আপিল বিভাগ স্থগিত করা আমাদের বিস্মিত করেছে। দুদকের আইনজীবীর কথা শোনার পর আমাদের কোনো কথা না শুনেই বিচারক আদেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশে এমনটা দেখতে হবে সেটা কখনো ভাবিনি।এ ধরনের আদেশ দেয়া যুক্তিসঙ্গত হয়নি। আদালতের আজকের এই রায়ে আমরা ক্ষুব্ধ,ব্যথিত। খালেদা জিয়াকে কুমিল্লায় নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো বেআইনি বলেও দাবি করেন মওদুদ। বলেন, ‘হাইকোর্ট বলেছে জামিন হওয়ার পর আবার অন্য মামলায় শোন এরেস্ট দেখানো বেআইনি। কিন্তু তারা তা করছে।’
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমরা মনে হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে একের পর এক মামলায় শোন এরেস্ট দেখিয়ে কারাগারে রাখবে। আর সরকারি দলের লোকজন সরকারি খরচে সারাদেশে ভোট চেয়ে বেড়াবে। আর আমরা আইনজীবীরা আদালতেরর দ্বারে দ্বারে ঘুরব।
মির্জা ফখরুল পুলিশ হেফাজতে ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন মিলনের মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান। তিনি একই সঙ্গে এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।নেপালে ইউএস-বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page