• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
৭০ বিলিয়ন ডলারের ফান্ড ঘোষণা বিশ্বব্যাংকের, বাংলাদেশ পাবে কত ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী, নির্বিশেষে সম-অধিকার দিয়েছে সংবিধান প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার শ্যালকের প্রার্থীতা প্রত্যাহারে টেলিফোন নির্দেশ নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরার আহ্বান রাষ্ট্রপতির দেশে হিট অ্যালার্ট জারি, শঙ্কায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর দাবি ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্ব প্রতিক্রিয়া নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার সিদ্ধান্ত আইসিসি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা ইসফাহানে ‘বিস্ফোরণের’ শব্দের কারণ জানালো ইরান এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা কারাগার: রিজভী

পায়ে পানি আসার কারণ

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৮

দুই পা ফুলে যাওয়া বা পায়ে পানি আসা একটি খুবই মারাত্মক রোগের লক্ষণ। শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় অঙ্গের যেমন হূদযন্ত্র, লিভার, কিডনী, খাদ্যনালীর কাজের ব্যাঘাত ঘটলে পায়ে ও গায়ে পানি আসে। নিম্নে গায়ে ও পায়ে পানি আসার কয়েকটি কারন সম্বন্ে আলোচনা করা হলোঃ
১. হূদযন্ত্রের কার্যকারিতা কমে গেলে (Congestive Cardiac Failure), উচ্চ রক্ত চাপ, হার্টের রক্ত চলাচলের ব্যাঘাত, হূদযন্ত্রের ভাল্বের সমস্যা হলে, হার্টের মাংসপেশীর কার্যকারিতা কমে আসে ফলে পায়ে, পেটে, বুকে পানি আসে।  এসব রোগীর বুকে ব্যথা, উচ্চ রক্ত চাপ, বুক ধড়ফড় করা, অতিরিক্ত ক্লান্তবোধ, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি লক্ষণ থাকে।
২. লিভারের সমস্যা- লিভার সিরোসিস হলে প্রথমে পেটে ও পরে পায়ে ও বুকে পানি জমে যায়। হেপাটাইটিস ভাইরাস বি ও সি, অতিরিক্ত মধ্যপান, লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে লিভারের সিরোসিস হয়। এসব রোগীর খাবারে অরুচি, হলুদ প্রশ্রাব, রক্ত বমি ইত্যাদি লক্ষণ থাকে।
৩. কিডনীর সমস্যা- নেফ্রোটিক সিনড্রোম, নেফ্রাইটিস ও কিডনী বিকল হলে প্রথমে মুখে, পরে পায়ে ও বুকে পানি আসে। এসব রোগীর বেশী বেশী প্রস্রাব, বমি বমি লাগা, খাবারে অরুচি, প্রস্রাব ফেনা ফেনা, প্রস্রাবের রং ঘন সরিষার তেলের মত, কম প্রস্রাব হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ থাকে।
৪. রক্তে আমিষের মাত্রা কমে গেলে, পরিমিত খাবার না খেলে, হজম না হলে, খাদ্য নালী থেকে আমিষ বের হয়ে গেলে অথবা কিডনী দিয়ে আমিষ বেরিয়ে গেলে, আমিষ শরীরে তৈরী না হলে রক্তে আমিষের মাত্রা কমে যায়। রক্তে আমিষ কমে গেলে পায়ে, পেটে ও বুকে পানি আসে।
৫. থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা- থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা শরীরে কমে গেলে পায়ে পানি আসে। এই রোগে রোগীর গলগন্ড, শীত শীত  লাগা, মোটা হয়ে যাওয়া, মাসিকের রক্ত বেশী যাওয়া, কোষ্টকাঠ্যিন্য হওয়া ইত্যাদি লক্ষণগুলো থাকে।
৬. ওষুধের কারণে পা ফুলে যাওয়া- ব্যথার ওষুধ যেমন:ডাইক্লোফেনাক, ন্যাপরোক্সেন, আইবুপ্রোফেন, ইটোরিকক্সিব খেলে পায়ে পানি আসে। এছাড়া উচ্চ রক্ত চাপের ওষুধ ক্যালাসিয়াম চ্যানেল ব্লকার (Calcium Channel Blocker) যেমন নিফেডিপিন, অ্যামলোডিপিন এসব ওষুধ খেলে পায়ে পানি আসতে পারে।
পায়ে পানি আসলে করণীয় :
পায়ে পানি আসলে রোগীকে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে। রোগীর ইতিহাস, শারীরিক পর্যবেক্ষণ ও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা যেমন CBC, Urine R/E, বুকের X-ray, ইসিজি, হরমোন, পেটের আলট্রাসনোগ্রাম, হার্টের ইকো-কার্ডিওগ্রাম ইত্যাদি করে পানি আসার কারণ নির্ণয় করা যায়। তবে রোগীর অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখক : বক্ষব্যাধি ও এ্যাজমা বিশেষজ্ঞ
চেম্বার : ইউনাইটেড হাসপাতাল, গুলশান-২, ঢাকা
Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page