• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১২ অপরাহ্ন

৩ বনদস্যু বাহিনী আজ আত্মসমর্পন করবে সুন্দরবনে জেলে-বনজীবী অপহরন থেমে নেই

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৮

বাগেরহাট প্রতিনিধি॥
আসত্মসমর্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সুন্দরবনের বনদস্যু বাহিনী সংখ্যা দিনে- দিনে বৃদ্ধি পেলেও থেমে নেই দস্যুতা। এই অবস্থায় র‌্যাব-৮ এর প্রচেষ্টায় সুন্দরবনের জেলে ও বনজীবীদের কাছে মুর্তিমান আতংক আরও ৩ বনদস্যু বাহিনীর সদস্যরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আজ (রবিবার) আত্মসমর্পন করবে। সুন্দরবন দাঁপিয়ে বেড়ানো বনদস্যু ডন, ছোট জাহাঙ্গীর ও সুমন বাহিনীর সদস্যরা ২৭ সদস্য আজ সকাল ১১টায় বাগেরহাট স্বাধীনতা উদ্যানে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে বিপুল পরিমান আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ তুলে দিয়ে আত্মসমর্পন করবে। র‌্যাব-৮ ও বাগেরহাট জেলা পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সুন্দরবনে গত ৩ বছরে ২০টি বনদস্যু বাহিনীর ২শত ২৭ সদস্য স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আত্মসমর্পন করলেও এখনও থামেনি জেলে-বনজীবীদের মুক্তিপনের দাবীতে অপহরন বানিজ্য। আত্মসমর্পন করা বা বন্দুকযুদ্ধে নিহত বাহিনীগুলোর দলছুট সদসরা নতুন নতুন নামে বাহিনী গঠন করে নেমে পড়ছে জেলে-বনজীবীদের জিম্মি ও অপহরন বানিজ্যে। সম্প্রতিক সময়ে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনসহ উপকুলীয় এলাকায় জেলে বহরে হানা দিয়ে মাছ লুট ও অপহরনের ঘটনায় নতুন করে আতংক দেখা দিয়েছে। শুধু মার্চ মাসে বনদস্যুদের হাতে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জেলেদের মুক্তিপনের দাবীতে একাধিক অপহরনের ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে গত ২৮ মার্চ পূর্ব সুন্দরবনের কুখ্যাত বনদস্যু ছোট্ট বাহিনীর হাতে জিম্মি থাকা তিন জেলে মুক্তিপণ দিয়ে ৬দিন পর ছাড়া পেয়েছেন। জেলেদের মহাজনরা বিকাশের মাধ্যমে ৭৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে গত ২৪ মার্চ রাতে পূর্ব সুন্দরবনে চাঁদপাই রেঞ্জের ভাইজোড়া খালে স্মার্ট প্রেট্রোলিং টিমের সাথে অজ্ঞাত বনদস্যুদের গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় আধঘন্টা গুলিবিনিময় শেষে ঘটনাস্থল থেকে বনদস্যুদের ব্যবহৃত ১টি নৌকা ও ২টি মোবাইল সিম উদ্ধার করে স্মার্টটিমের সদস্যরা। গত ৩মার্চ বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে বনরক্ষী ও কোষ্টগার্ডের যৌথ অভিযানে ৭ জেলে, ৩টি ফিশিং ট্রলার ১টি নৌকা উদ্ধার হয়েছে। এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের গাতারখাল এলাকায় বনদস্যু মামা-ভাগ্নে বাহিনীর জিম্মিদশা থেকে ওই জেলেদের উদ্ধার করা হয়। একইদিন দুপুরে কটকা বনরক্ষী এবং ওই বনদস্যু বাহিনীর মধ্যে প্রাায় আধঘন্টা ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় বনরক্ষীরা বনদস্যুদের কবল থেকে ৬জেলে ও ৪টি মাছ ধরা নৌকা উদ্ধার করেন। এ নিয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩ জেলে, ৩টি ইঞ্জিন চালিত ফিশিং ট্রলার ও ৫টি মাছ ধরা নৌকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ১৩ জেলের বাড়ি খুলনার দাকোপ, সাতক্ষীরার কয়রা, বরগুনার পাথরঘাটা ও বাগেরহাটের ফরিকহাট উপজেলার বিভিন্ন গ্রাামে।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page