• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৬ অপরাহ্ন

নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োগের ক্ষমতা ইসির নেই : ওবায়দুল কাদের

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৮

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে ছুটে যায়। তাদের এ কাজ জাতীয় সম্মানের জন্য মোটেই শুভ নয়। যদি কোন নালিশ থেকেই থাকে তাহলে বিদেশিদের কাছে না গিয়ে দেশের জনগণের কাছে গিয়ে বলতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রবিবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপ-কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োগের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নেই। সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হবে কিনা এটা নির্ভর করবে সরকারের ওপর। তাও সেটা বাস্তব পরিস্থিতির প্রয়োজনে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নির্বাচনে তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সেই অবস্থায় নির্বাচন কমিশন সরকারকে অনুরোধ করতে পারে। নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন মনে করলে নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিতে পারে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে কাজ করবে। কিন্তু সেনাবাহিনী থাকবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তাই ইসি চাইলেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে পারবে না।
আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, তারা (নির্বাচন কমিশন) সরকারকে শুধু অনুরোধ করতে পারবে। সরকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজন মনে করলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করবে। এ বিষয়ে সংবিধানে সব কিছু বলা আছে। কেউ চাইলেও সংবিধানের বাইরে যেতে পারবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সেনাবাহিনী শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া হবে কিনা সেটা পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা বিশ্বে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে থাকেন। তাহলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও এপিরা কেন পারবে না। এ বিষয়ে আমরা ইসির সঙ্গে আলোচনায় বসবো।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা বেগম জিয়াকে নিয়ে একেক সময় একেক রকম বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছিলেন। তাকে জোর করে হাসপাতালে নেয়ার প্রশ্নই আসে না। তিনি হাসপাতালে যাওয়াতে অবশ্য একদিক থেকে সুবিধা হয়েছে। জাতি দেখেছে তিনি কতটুকু অসুস্থ।
তিনি বলেন, আমার তো মনে হয় তিনি জেলে যাওয়ার আগে যতটুকু সুস্থ ছিলেন, জেলে যাওয়ার পর আরও বেশি হাস্যোজ্জ্বল ও সুস্থ দেখাচ্ছে। তিনি সুস্থ থাকুন আমরা সেটা চাই।
তিনি বলেন, উপ-কমিটির দায়িত্ব তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, মাঝে মাঝে এমন কিছু ইস্যু আমাদের সামনে চলে আসে, যেখানে দলীয় অবস্থান পরিষ্কার করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। উপ-কমিটির দায়িত্ব থাকবে এসব ইস্যুতে পার্টির বক্তব্য তুলে ধরা।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, উপ-কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, প্রলয় সমদ্দার, কান্তি দাশ প্রমুখ।
Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page