• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন

উল্লাপাড়ায় সওজ বিভাগের সবকিছুই বেহাল দশায় যে যেমন পারছে ঘর তুলে করছে বসবাস

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : রবিবার, ৬ মে, ২০১৮

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি॥
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অফিস চত্ত্বরে প্রায় সবকিছুই বেহাল দশায় রয়েছে। এখানে মূল্যবান বিভিন্ন মালামাল খোলা আকাশের নিচে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক কিছু নষ্টও হয়ে গেছে। এ অফিস এলাকাতেই সওজ বিভাগের কর্মচারীদের অনেকেই যে যার ইচ্ছে মত ঘর দরজা তুলে বসবাস করছেন। একজন চাকুরি থেকে অবসরে গেলেও হায়দার আলী নামে একজন আবাসিক ভবনে গোটা পরিবার পরিজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছে। এদিকে অফিসের ভিতরে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ও অফিস ভবন সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থা হয়েছে। এ অফিসের প্রধান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তার নির্ধারিত আবাসিক ভবনে থাকেন না। সড়ক ও জনপথ বিভাগের উল্লাপাড়া উপ-বিভাগীয় কার্যালয়টি স্টেশন বাসষ্ট্যান্ড এলাকার কাছাকাছি নিজস্ব জায়গাতেই অবস্থিত। এ অফিসে বিশাল নিজস্ব জায়গা রয়েছে। এখানে অফিস ভবন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বসবাসের বেশ কয়েকটি পাকা আবাসিক ভবন রয়েছে। এছাড়া বিশাল খোলা প্রান্ত রয়েছে। এ খোলা জায়গাতেই বছরের পর বছর ধরে মূল্যবান মালামাল ফেলে রাখা হয়েছে। এতে অনেক মালামাল সঠিক সংরক্ষণ না করায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ট্রাক, রোলার মেশিন অবহেলায় থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ চত্ত্বরে অনেকগুলো কাঠের গুল ফেলে রাখায় রোদে, বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ অফিস এলাকাতেই কর্মচারীদের বসবাসে আবাসিক ভবন রয়েছে। এসব ভবনে কর্মচারীরা বসবাস করে। এর পাশাপাশি কর্মচারীরা অফিসের জায়গাতেই তাদের ইচ্ছে মত ঘর দরজা তুলে বসবাস করছে। জানা গেছে, এখানে সওজ বিভাগের সেকশন অফিসার, কার্য সহকারী, হেলপার, নিরাপত্তা প্রহরী মিলে ১৫ জন বসবাস করছে। এদের মধ্যে হায়দার আলী নামে একজন চাকুরি থেকে অবসর নেওয়ার পরও সরকারি বাসাতেই দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছে।
স্থানীয় সওজ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বসবাসের একটি আবাসিক ভবন থাকলেও তিনি এখানে বসবাস করেন না বলে জানান যায়। এটি মাসের পর মাস তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কর্মচারীদের বসবাসের বেশির ভাগ ভবন সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে আছে। একটি ভবনের টিনের চাল ভেঙ্গে যাওয়ায় তা পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। উল্লাপাড়া সওজ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ জহরুল আলমের বক্তব্যে, তার জন্য নির্ধারিত বাস ভবনটি বসবাসের অযোগ্য হওয়ায় তিনি অন্যত্র ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। এদিকে কর্মচারীদের ইচ্ছে মত ঘর দরজা তুলে বসবাসের বিষয়ে বলেন, কোন বিধান বা নিয়ম না থাকলেও তারা অনিয়ম করেই ঘর দরজা তুলে বসবাস করছে। এছাড়া চাকরি থেকে অবসরে যাওয়া ব্যক্তির বিষয়ে বলেন, তিনিও অনিয়ম করে থাকছেন। এদিকে মালামাল সংরক্ষণের শেড না থাকায় তা খোলা অবস্থাতেই রেখে দেওয়া আছে। একটি শেডের জন্য একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন জানানো হয়েছে। এছাড়া ভিতরে পড়ে থাকা গাছের গুলগুলোর বিষয়ে বলেন, এটি তাদের বিক্রির এখতিয়ার নেই।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page