• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৩ অপরাহ্ন

টাঙ্গাইলে চেয়ারম্যানের কক্ষে বসে আদম ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : রবিবার, ৬ মে, ২০১৮

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ৫নং বানাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন খান ইউনিয়ন পরিষদের অফিস কক্ষে বসে আদম ব্যবসা পরিচালনা করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা, উন্নয়ন সভা না করা, তাদের সম্মানী ভাতা না দেয়াসহ নানা অভিযোগে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পরিষদের ১১জন সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৮মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মো. ফারুক হোসেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই আদম ব্যবসার সঙ্গে জড়িত চেয়ারম্যান ফারুক নির্বাচিত হওয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যানের অফিসে বসে আদম ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এতে পরিষদের সদস্যদের সময় না দিয়ে চেয়ারম্যান তাঁর ব্যবসা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকেন। ইউপি সদস্যদের নিয়ে মাসিক উন্নয়ন সভা না করে তার অফিস কক্ষে আদম ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটান। চেয়ারম্যানের কক্ষে আদম ব্যবসার সাথে জড়িতরা ভির জমানোর কারণে সদস্যরাও সেখানে বসতে পারেন না। এছাড়া সদস্যদের সাথে উন্নয়ন কর্মকান্ডের সমন্বয়হীনতা সহ সদস্যদের সম্মানী ভাতা দিচ্ছেন না বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ওই ইউনিয়নের ১১জন ইউপি সদস্য গত ২৫এপ্রিল মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীনের কাছে লিখিত অভিযোগ জিমা দেন।
২নম্বর ইউপি সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মো. মতিয়ার রহমান জানান, ইউপি সদস্যদের মাসিক সম্মানী ভাতা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ টাকা। নির্বাচিত হওয়ার দুই বছরে তিনি মাত্র ১৪ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা পেয়েছেন।
সংরক্ষিত আসনের সদস্য প্রভা রানী জানান, চেয়ারম্যানের অফিসে সব সময় আদম ব্যবসার লোকজন ভির করে থাকে। চেয়ারম্যান সব সময় তাদের নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকেন। পরিষদের সদস্যদের তিনি সময়ই দেন না।
বানাইল ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই আদম ব্যবসা করি। সরকার সদস্যদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি করেছে। পরিষদের ট্যাক্স ধার্য কম হওয়ায় সরকার নির্ধারিত সম্মানী ভাতা দিতে পারছি না। তবে সম্প্রতি ইউপি সদস্যদের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে এক লাখ ৮২ হাজার টাকা দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীন ইউপি সদস্যদের লিখিত অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত  সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page