• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন

চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত দেড় লাখ মানুষ ॥ চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ৩৫ টি পদ শূণ্য

আপডেটঃ : সোমবার, ৭ মে, ২০১৮

বাগেরহাট প্রতিনিধি॥

জন বান্ধব এই সরকার চিকিৎসা সেবা মানুষের দোর গোড়ায় পৌছে দিতে হাতে নিয়েছে নানা কর্মসূচী।ঢেলে সাজিয়েছে ইউনিয়ন পর্যয়ের কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো, চিকিৎসা সেবা দিতে সেখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দক্ষ মেডিকেল অফিসার। অথচ বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ৫০ শয্যায় উন্নিত হলেও বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জারিত।যার ফলে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত প্রত্যান্ত-গ্রামাঞ্চলের প্রায় দেড় লাখ সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে এখানে ১৪২ টি পদের মধ্যে ৩৫ টি শূণ্য। প্রতিদিন চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা সীমাহীন বিড়ম্বনার শিকার হয়ে বাড়ি ফিরছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ১৮ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ শয্যা হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন। এরপর চলতে থাকে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা। এলাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ায় ২০১১ সালের ২২ জুন বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন ৫০ শয্যা হাসপাতালের শুভ উদ্বোধন করেন। কিন্তু পর্যাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী না থাকায় দিনদিন এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সেবার মান দিনদিন অত্যান্ত নাজুক হয়ে পড়ছে। হাসপাতালটির ওটি রুম (অপারেশন থিয়েটার) দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে। টেকনিশিয়ানের অভাবে নষ্ট হচ্ছে এক্সরে মেশিনসহ কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। এছাড়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ মানুষের জন্য এখানে ১৫ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও ৮ জন কর্মরত থাকায় দীর্ঘদিন ধরে ৭টি পদ শুন্য রয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর ১০৮ টি পদের মধ্যে ৮৫ জন কর্মরত থাকলেও ২৩টি পদ শুন্য। চতুর্থ শ্রেণীর ১৯ জনের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত থাকলেও ৫ টি পদ শুণ্য। এখানে মোট ১৪২ টি পদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ৩৫টি পদ শূণ্য রয়েছে। চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, তার যোগদানের আগে এখানে চিকিৎসা সেবা একেবারে ভেঙে পড়েছিল। লোকবলের অভাবে সেবা কিছুটা ব্যহত হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা টেকনিশিয়ানের অভাবে নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালের এক্সরে মেশিনসহ কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রপাতি বলেও তিনি জানান।তবে চিকিৎসা নিতে আসা অসহায় সাধারণ মানুষ অভিযোগ করে জানান, এখানে তারা সঠিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না। এছাড়া হাসপাতালে কর্মরত কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী চিতলমারী ও বাগেরহাট সদরের স্থানীয় হওয়ায় তারা রোগীদের সাথে ভাল ব্যবহার করেন না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ