‘মিথ্যাচারই বিএনপির রাজনীতির মূল বিষয়’ বলে আখ্যা দিয়ে আজ সোমবার সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি গতকাল (রবিবার) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন সরকার নাকি ভারতের সাথে গোপনে সামরিক চুক্তি করেছে। এই জবাবে আমি বলতে চাই এটা একটা নির্লজ্জ মিথ্যাচার। ভারতের সাথে বর্তমান সরকারের গোপনে কোন চুক্তি হয়নি।
হাছান মাহমুদ বলেন, রিজভী সাহেব বিএনপির একজন আবাসিক নেতা। তিনি বিএনপি কার্যালয়ে থাকেন, সেখানেই ঘুমান। এতদিন ভাবতাম তিনি বিএনপি অফিসে বসে কিছু পড়াশুনা করেন, কিন্তু এখন জানি তিনি কিছুই জানেন না। মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) এবং চুক্তির মধ্যে পার্থক্যও বুঝেন না।
তিনি আরো বলেন, গত ৮ এপ্রিল ২০১৭ইং তারিখে ভারতের সাথে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সাক্ষরিত হয়েছিল। সেই এমওইউ এর ব্যাপারে গত ৭ ও ৮ মে কিছু গাইডলাইন ঠিক করা হয়েছে মাত্র। এখন কোন চুক্তি তো দূরের কথা সমঝোতা স্বারকও নতুন করে হয়নি। এটাকে যদি চুক্তি হিসেবে দাবি করা হয় তাহলে বলতে হবে রিজভী সাহেব পাগলের প্রলাপ বকছেন।
তিনি আরো বলেন, ২০০২ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারাই চায়নাসহ অনেক দেশের সাথে সামরিক চুক্তি করেছিল। বরং আওয়ামী লীগ সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারতের কাছ থেকে এক সুতাও ছাড় না দিয়ে ৪৬ বছরের পুরোনো সীমান্ত সমস্যার সমাধান করেছেন। সমুদ্র সীমা জয়ের ব্যাপারেও ভারতকে একচুল ছাড় দেওয়া হয়নি। বিএনপি ভোটের রাজনীতিতে সবসময় ভারত বিরোধীতা করে আর পর্দার অন্তরালে বিএনপি ভারতের পদলেহন করে। দেশে কোনো ভারতীয় রাজনীতিবিদ এলে তাদের সাথে দেখা করার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করে।
এ সময় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন নাহার লাইলী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান বলেন, বিএনপির নেতারা সুস্থ বেগম জিয়াকে অসুস্থ বানিয়ে ফেলেছেন।
তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি এখন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চেয়েও বিএনপি নেতারা বড় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হয়ে গেছেন। আর সে জন্যই তারা চিকিৎসককে পাশ কাটিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে তারা মন্তব্য করছেন।
