• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৯ অপরাহ্ন

কেসিসি নির্বাচনে ৪০ কেন্দ্র দখলের অভিযোগ বিএনপির

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৫ মে, ২০১৮

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৯টি ওয়ার্ডের ৪০টি কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকা মার্কায় জাল ভোট দেয়ার অভিযোগ তুলেছে বিএনপি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই সরকারি জয়োল্লাসের ধরণ দেখে বোঝা যাচ্ছিল নির্বাচনের দিন ভোটের পরিণতি কী হবে। আজকে দেশবাসী সেই চিত্রই দেখছে।
রিজভী বলেন, আজ ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকেই ‘হাসিনা মার্কা’ নির্বাচনের স্বরূপ আত্মপ্রকাশ করতে শুরু করেছে। ধানের শীষের এজেন্টদের ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়া, কয়েকদিন ধরে তাদের বাড়িতে বাড়িতে হুমকি, নারী ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করাসহ আওয়ামী লীগের রক্তাক্ত নির্বাচন বাস্তবায়িত হচ্ছে। সরকার সমর্থিত টিভি চ্যানেলগুলোতেও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট সন্ত্রাস ও ভোট জালিয়াতির চিত্র প্রচারিত হয়েছে। সব অভিযোগ স্থানীয় নির্বাচনি কর্মকর্তাদের গোচরে আনা হলেও তারা এক চোখ বন্ধ করে কাজ করছে বলে ভাষ্য রিজভীর।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিজেদের সাংবিধানিক স্বাধীনতা অস্বীকার করে সরকারের কাছে পরাধীন হওয়ার জন্য আত্মসমর্পণ করেছে।নির্বাচন কমিশন সরকারেরই ফটোকপি।
এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবের সংক্ষিপ্ত চিত্র।
দৌলতপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৩১  নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্র-২৭৭ ও ২৭৮, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্র-২০১ ও ২০২ ইকবাল নগর বালিকা ভোট কেন্দ্রসহ ১৯ টি কেন্দ্র নৌকা মার্কায় জাল ভোট চলছে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৮টায় মধ্যে পুলিশের সহায়তায় ৪০টি কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। অধিকাংশ কেন্দ্রে এজেন্টরা ঢুকতে পারছেন না। অতীতের মত সেই একই রূপ, একই সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি।
রিজভী বলেন, ভোট ডাকাতির যে বিষয়টি আমরা অভিযোগ করেছি, ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকে ডাকাতির যে চরিত্র দেখছি- কেড়ে নেয়া, বের করে দেয়া, আটকে রাখা, রক্তাক্ত করা, ব্যালট বাক্স নিয়ে যাওয়া, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো, নারী এজেন্টদের হুমকি দেয়া-  এটা তো ডাকাতির নিদর্শন।
আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাসীরা’ কেন্দ্রে গিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এজেন্টদের নৌকা মার্কায় ‘সিল মারতে’ উৎসাহ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ইসি ‘গ্রিক মূর্তির মত’ নির্বাক হয়ে আছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খুলনায় মোতায়েন করা হয়েছে। অথচ তাদের সামনেই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোটারদের বাধা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ৩১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কবিরের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ভোটারদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। হাজী মালেক মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দিতে না যেতে ভোটারদেরকে মুক্তার হোসেন সড়কে বাধা দেয়া হচ্ছে। ২০ নম্বর ওয়ার্ডে এইচ আর এইচ প্রিন্স আগাখান উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে পুলিশের সহযোগিতায় আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সাধারণ ভোটারদেরকে বের করে দিয়ে নৌকা মার্কায় সিল মারছে। ২২ নম্বর ওয়ার্ডে জেলা স্কুল ও নতুন বাজার চর কেন্দ্রে যেতে ভোটারদেরকে ব্যাপকভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে। ফাতেমা স্কুল কেন্দ্র যেখানে নৌকার মেয়র প্রার্থী ভোট দিয়েছেন সেখানে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা হচ্ছে। আবার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসা ও নুরানী মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দিচ্ছে।
Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page