• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার শ্যালকের প্রার্থীতা প্রত্যাহারে টেলিফোন নির্দেশ নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরার আহ্বান রাষ্ট্রপতির দেশে হিট অ্যালার্ট জারি, শঙ্কায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর দাবি ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্ব প্রতিক্রিয়া নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার সিদ্ধান্ত আইসিসি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা ইসফাহানে ‘বিস্ফোরণের’ শব্দের কারণ জানালো ইরান এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা কারাগার: রিজভী রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা রাজনৈতিক নয়: প্রধানমন্ত্রী

বাগেরহাটে সরকার নির্ধারিত মূল্যের তোয়াক্কাই করেনা ব্যাবসায়ীরা

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : শুক্রবার, ১৮ মে, ২০১৮

বাগেরহাট প্রতিনিধি॥
পবিত্র রমজান মাসের শুরুতেই বাগেরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য উর্দ্ধগতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ। সরকারের দেওয়া মূল্য তালিকা তার কোন তোয়াক্কাই করে না এই সব সিন্ডিকেট ব্যাবসায়ীরা । রজমানের শুরুতে হু হু করে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার দর। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পেয়াজ, রসুন, বেগুন, চিনিসহ প্রায় সকল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে জেলার খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ। যদিও জেলা প্রশাসন, বাজার নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা ও চেম্বার অব কমার্স এর নেতারা বলছেন সরকারের বেধে দেয়া মূল্য তালিকার বাইরে গিয়ে অধিক মুনাফার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
শুক্রবার সকালে  বাগেরহাট বাজার ঘুরে দেখাগেছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যের লাগামছাড়া বৃদ্ধিতে হতাশ সাধারণ ক্রেতারা। রমজান মাস আসলেই কিছু মুনাফাখোর অসাধু ব্যবসায়ীরা পন্য মজুদ করে,আর অধিক লাভ পাবার জন্য মজুদ কৃত দ্রব্য চড়া মূল্যের  বাজার জাত করে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা সরকারেরর বেধে দেয়া বাজার মূল্যের কোন তোয়াক্যা করে না। এবারও তার ব্যতিক্র ঘটায়নাই ওই সব অসাধু ব্যাবসায়ীরা ,পবিত্র রমজানের শুরুতেই এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য,সবজি, মাছ মাংসসহ চিড়া মুড়ির দাম বাড়িয়েছে।
বাগেরহাট বাজার ঘুরে দেখা যায় গত সপ্তাহে যে পেয়াজের দাম আগে ছিল ৩২ টাকা প্রতি কেজি তা এখন বেড়ে দাড়িয়েছে ৪৮ টাকায়, রসুন ছিল প্রতি কেজি ৫৪ টাকা এখন ৭০ টাকা, বেগুন ছিল প্রতি কেজি ৪০টাকা তা এখন ৬০ টাকা, শসা ছিল ৪০ টাকা তা এখন ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ছিল ৪০ টাকা তা এখন কেজি প্রতি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে যে চিনির দাম ছিল ৪৮ টাকা তা এখন কেজি প্রতি ১০ কাটা বেড়ে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৮০ টাকার মুড়ি এখন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা দরে। বেড়েছে মাংসের দামও, সরকারের বেধে দেয়া ৪৪০ টাকার গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে৫০০ থেকে ৫২০ টাকা দরে। এছাড়া দাম বেড়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের।
বাজারে আসা কয়েক জন সাধাণ ক্রেতার সাথে কথা বললে তারা বলেন-রমজানের শুরুতেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম এত বাড়ায় যা আমদের মত সাধারন মানুষদের ক্রয় সিমার বাইরে। বাজারে এসেছি মাছ কিনতে এখন দেখি কেনা সম্ভব হবে না।, পাইকারি ব্যাবসায়ীরা মজুদ শুরু করেছে  আর বলছে যে মাছের আমদানি কম ,আমরা বিপদে আছি। অপর এক ক্রেতা বলেন, প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেশী আমরা যারা সীমিত বেতনে চাকরি করি তাদের মাস চালানো কষ্ট হবে এবার। পেয়াজ ও রসুন দাম বেশী, মাংসের অগ্নি মূল্যে বাজারের মূল্য অস্বাভাবিক। সবজি বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ক্ষেতে মাল কম তাই প্রায় সব সবজীতেই কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মাংস বিক্রেতা জুম্মন শেখ বলেন, বাজারে গরুর যে চাহিদা যে অনুযায়ী গরু পাওয়া যাচ্ছে না। আবার ইন্ডিয়ান গরুও আসে না। তাই কেজি প্রতি দাম একটু বেড়েছে। জেলা বাজার কর্মকর্তা মো. সুজাত হোসেন খান বলেন, বাজারে দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশী দামে বিক্রি করলে কোন রকম ছাড় দেয়া হবেনা। মূল্য তালিকার বাইরে বিক্রি করলে বাজার নিয়ন্ত্রন আইনে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্টির সভাপতি মোঃ লিয়াকত হোসেন লিটন বলেন, আমরা বাজার তদারকি শুরু করেছি। নির্ধারিত মূল্যের বেশী বিক্রি না করার ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সর্তক করেছি। এর বাইরে কেউ বিক্রি করলে তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে। বাগেরহাট জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ^াস বলেন, বাজার মূল্য তদারকি করা হচ্ছে। বাজার দরের থেকে বেশী দামে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য যাতে বিক্রি না হয় তা নিশ্চিত করা হবে। কোন ব্যবসায়ী যতি বেশী দামে পন্য বিক্রি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page