• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৯ অপরাহ্ন

মাদকের গডফাদাররা আত্মগোপনে

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : শনিবার, ২৬ মে, ২০১৮

সারাদেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর আত্মগোপনে চলে গেছেন মাদকের শীর্ষ গডফাদাররা। তারা ভয়ে এখন গাঢাকা দিয়েছে। অনেকে ঘরবাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে থাকা তালিকায় টেকনাফের ৬০ গডফাদারের অনেকে ঢাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। তারা তাদের পৃষ্ঠপোষক শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে আশ্রয় চাচ্ছেন। তবে মাদকের প্রতি সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানের কারণে তাদের পৃষ্ঠপোষকরাও তাদের আশ্রয় দিচ্ছেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি সংস্থার তদন্তে যেসব গডফাদার, প্রভাবশালী আশ্রয়দাতা,  বিনিয়োগকারী ও পৃষ্ঠপোষকের নাম এসেছে তাদের আইনের আওতায় আনা না গেলে মাদকের মূলোত্পাটন সম্ভব নয়।
তবে মাদক নির্মূলে গডফাদার ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের নিয়ে সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী শক্ত অবস্থানে আছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ঢাকায় মাদকের পৃষ্ঠপোষকদের খুঁজে বের করা হবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে টেকনাফের মাদকের ৬০ গডফাদারের তালিকা আছে। মাদকের গডফাদারদের তালিকায় রাজনৈতিক জনপ্রতিনিধি ও তাদের নিকট আত্মীয় স্বজনের নাম রয়েছে। যাদের মধ্যে আছেন সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির চার ভাই। তারা হলেন মো. আব্দুস শুক্কুর, আব্দুল আমিন, পৌর কাউন্সিলর মৌলভী মুজিবুর রহমান ও মো. সফিক। গডফাদারের ওই তালিকায় জনপ্রতিনিধির মধ্যে আছেন টেকনাফের উপজেলার চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ ও তার পুত্র সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান।  এসব গডফাদারদের তালিকা ধরে অভিযান চালাচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। গডফাদারদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় আট নম্বরে থাকা আকতার কামাল মারা গেছেন। গতকাল কক্সবাজারে মেরিনড্রাইভ সড়কে তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা বলছেন, আকতার কামাল উখিয়া টেকনাফের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির বড় বোন শামসুন্নাহারের দেবর এবং টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আহমদ এর বেয়াই। এছাড়া শীর্ষ ওই মাদক গডফাদার টেকনাফের বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ এর শ্যালক। তিনি টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। চেয়ারম্যান জাফর আহমদ নিজে এবং তার তিন ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান, মোস্তফা মিয়া, দিদার মিয়া  মাদকের গডফাদারের ওই তালিকায় আছেন।
অন্যদিকে গোয়েন্দাদের হাতে রাজধানী ঢাকায় ১০২ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী তালিকা আছে। তারা রাজধানীকে মাদকের ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে। টেকনাফ থেকে কক্সবাজার হয়ে সরাসরি মাদক চলে আসে ঢাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে। এরপর তারা ঢাকার অলি-গলি থেকে শুরু করে সারাদেশে মাদক পাচার করে।
Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page