• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫২ অপরাহ্ন

প্রতি বছর লোক দেখানো কাজ করে লাখ লাখ টাকা লুট পাট

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৫ জুন, ২০১৮
Exif_JPEG_420

বাগেরহাট প্রতিনিধি॥
বাগেরহাটের শরণখোলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন সংস্কার কাজে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অনৈতিক সুবিধায় ম্যানেজ করে ওই ঠিকাদার দায়সারা কাজ করেছে বলে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন উঠেছে। যে কথাটি এলাকায় এখন সবার মুখে মুখে  এর প্রকৃত সত্যতা যাচাই এর জন্য ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তারা তথ্য দিতে রাজি হননি।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবন, ডাক্তারদের কোয়ার্টারসহ একাধিক আবাসিক ভবন ঝূকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। পরে বিভাগীয়, স্বাস্থ্য প্রকৌশলী খুলনার উদ্যোগে চলতি বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়  কোটেশনের মাধ্যমে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। তার মধ্যে হাসপাতালের পুরাতন ভবন,নব নির্মিত ডাক্তারদের আবাসিক কোয়ার্টার, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আবাসিক কোয়ার্টারসহ পানি শোধনের জন্য ড্রেন সংস্কার কাজ রয়েছে। লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার প্রকল্পের মূল ঠিকাদারের পরিবর্তে খুলনা, মঠবাড়িয়া ও শরণখোলার ৪ জন সাব কন্ট্রাকটার সংস্কার কাজগুলো সম্পন্ন করেন। জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে  শুধুমাত্র দেয়ালে রংয়ের প্রলেপ দিয়ে অনেকটা দায় সেরেছেন ঠিকাদারদের কেউ কেউ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন শ্রমিক বলেন, ঠিকাদারের পক্ষ থেকে ভবন গুলোর বড় বড় ফাঁটল দেখে সেখানে কিছু সিমেন্ট বালু দিয়ে প্রলেপ দিতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী তারা কাজ করে বাকি স্থানে (দেয়ালে) রংয়ের প্রলেপ দিয়েছেন। হাসপাতালের এক স্টাফ বলেন, সংস্কারের নামে প্রতি বছর সামান্য খোড়াখুড়ি ও দেয়ালে রং করা হয়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার পুরোনো চেহারা দেখা যায়। কাজের গুণগত মানের পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করা না গেলে সরকারের প্রতি বছরের বরাদ্দ হওয়া লাখ লাখ টাকা লুটপাট অব্যাহত থাকবে। সুফল ভোগ করতে পারবে না এ অঞ্চলের জনসাধারণ।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার সমদ্দার বলেন, সংস্কার কাজে অনিয়ম দেখে তিনি প্রথমে কাজ বন্ধ করে দেন এবং কাজ তদারকির জন্য হাসপাতালের এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন। তবে, তাকে ম্যানেজ করার অভিযোগটি ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, কাজ তদারকি কমিটির এক সদস্য বলেন, কাজের নিয়ম-অনিয়ম বোঝার কোন উপায় নেই। কারণ তাদের কাছে সিডিউলের কোন কাগজ পত্র নেই। কি কাজ, কত টাকা বরাদ্দ এ সম্পর্কে অবগত না হয়ে নিয়ম-অনিয়ম ধরা যায় না।
অপরদিকে, সংস্কার কাজের সার্বিক তদারকির দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য বিভাগের বাগেরহাট অঞ্চলের প্রকৌশলী মো. এনামুল হক তালুকদার মুঠোফোনে জানান, তার নিয়ন্ত্রণে যতগুলো প্রকল্প চলমান রয়েছে, তার মধ্যে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন সংস্কার কাজের মান প্রশংসনীয়। এছাড়া প্রকল্পের বরাদ্দ ও সিডিউল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, নিয়ম-অনিয়ম দেখার দায়িত্ব তোমার না। কারণ তুমিতো আর প্রকৌশলী নও।##


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ