• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৫ অপরাহ্ন

ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে এবার ইফতার পার্টি হবে না

আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৭ জুন, ২০১৮

ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে দীর্ঘদিন ধরেই রমজান মাসে ইফতারের রীতি চলে আসছে। তবে এবছর থেকে আর ইফতারের আয়োজন করা হবে না বলে রাষ্ট্রপতি ভবন জানিয়েছে। রাষ্ট্রপতির এক অফিসার জানিয়েছেন, শুধু ইফতার নয়, কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানই আর রাষ্ট্রপতি ভবনে পালিত হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেদেশের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোভিন্দ।
এ ধরনের সব অনুষ্ঠানই যেহেতু করদাতাদের দেওয়া অর্থে করা হয়, তাই ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ অনুসরণ করে কোনোরকম ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন না করা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব অশোক মালিক সংবাদসংস্থা পি টি আইকে বলেন, ‘রামনাথ কোভিন্দ দায়িত্ব নেওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে রাষ্ট্রপতি ভবনের মতো সরকারী ভবনগুলোতে কোনও ধরণের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা চলবে না। এ ধরনের সব অনুষ্ঠানই যেহেতু করদাতাদের দেওয়া অর্থে করা হয়, তাই ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ অনুসরণ করে কোনোরকম ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন না করা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।’
তবে প্রতিটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা জয়ন্তীতে দেশবাসীকে নিয়মমাফিক শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়া বন্ধ করেন নি রাষ্ট্রপতি। রোজার সময়ে ইফতার বহুদিন ধরেই আয়োজিত হয়ে আসছে রাষ্ট্রপতি ভবনে। এর আগে এ পি জে আব্দুল কালাম যখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন, সেই পাঁচ বছরও অবশ্য রাষ্ট্রপতি ভবনে ইফতার আয়োজিত হয় নি। তবে তাঁর পরে দায়িত্ব নেওয়া প্রতিভা পাতিল, প্রণব মুখার্জী প্রতিবছরই ইফতারের আয়োজন করতেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোভিন্দ
রাষ্ট্রপতি ভবনে যেমন এবছর থেকে ইফতার বন্ধ করে দিয়েছেন মি. কোভিন্দ, তেমনই হিন্দু পুনরুত্থানবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আর এস এস-এর নাগপুর সদর দপ্তরে ইফতার আয়োজনের প্রস্তাবও নাকচ হয়ে গেছে। সংঘের মহারাষ্ট্র শাখার প্রধান ওই ইফতারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সংঘের মুসলিম শাখার প্রধান মুহাম্মদ আফজল জানিয়েছিলেন যে অ-মুসলিমরা ইফতারের আয়োজন করতে পারে, এমন কথা ইসলাম ধর্মে লেখা নেই। অন্যদিকে বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রস্থল উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় কদিন আগে হিন্দু সাধু সন্তরা আয়োজন করেছিলেন রোজা রাখা মুসলমানদের জন্য আয়োজন করেছিলেন ইফতারের। অযোধ্যার সরযূ কুঞ্জ মন্দিরেই ইফতারে আয়োজন করেছিলেন মহন্ত যুগল কিশোর শরণ শাস্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মন্দিরের সাধু সন্তরা মুসলমান ভাইদের নিজের হাতে খাইয়েছেন ইফতারে। মন্দিরে আমাদের ঈশ্বরকে যা প্রসাদ দেওয়া হয়, সেটাই দেওয়া হয়েছে মুসলমান ভাইদেরও।’ বিবিসি বাংলা/ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ