• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:০২ অপরাহ্ন

রমজানের শেষ সপ্তাহে কেনাকাটার ধুম ॥ ক্রেতায় ভরা ছোট-বড় মার্কেট

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১২ জুন, ২০১৮

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি॥
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট গুলোতে ঈদ উপলক্ষে রমজানের শেষ সপ্তাহে কেনাকাটার ধুম লেগে গেছে। মার্কেট গুলোতে পুরুষের চেয়ে নারী ক্রেতার সংখ্যা বেশ চোঁখে পড়ার মতো। ঈদ বাজার করতে আসা অনেকেই বলছেন এবার ঈদপণ্যের মূল্য অনেক বেশী। যার কারনে নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের প্রিয় মানুষের মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্য ঈদ বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন গ্রাম থেকে দলে দলে লোকজন প্রতিদিন ঈদের বাজার করতে আসছে বিপনী বিতান গুলোতে। বাচ্চাদের পোশাক, মহিলাদের শাড়ি ও জুতার দোকান গুলোতে ক্রেতাদের ভিড় সবচেয়ে বেশী দেখা গেছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে উপজেলার বাজার গুলো ক্রেতা সাধারণের সমাগমে পরিপূর্ন হয়ে উঠছে। মার্কেটের শপিং মল থেকে শুরু করে ফুট পাতের দোকান গুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীর লক্ষ্য করা গেছে। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে প্রিয়জনের উপহার কিনতে ধনী ও মধ্যবিত্তদের পাশাপাশি কেনা কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নিম্নবিত্তের খেটে খাওয়া মানুষও।
উপজেলার আরামনগর বাজার, শিমলা বাজার, ভাটারা বাজার, শিল্পাঞ্চল তারাকান্দি, পৌর সুপার মার্কেট, বাউসি বাজার, বয়ড়া বাজারসহ বিভিন্ন মার্কেট ও দোকানগুলোতে চোঁখে পড়ার মতো ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিপণী বিতাণগুলোতে আলোক সজ্জা ও বাহারি সাজে সাজানো হয়েছে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্তসকলেই শেষ পর্যায়ে ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত। গার্মেস্টস সামগ্রী, পাঞ্জাবি, শাড়ি, চুরি, থ্রিপিস, গহনা, জুতা ও কসমেটিক্সের দোকানগুলোতে ভীর লক্ষণীয়। একই সাথে বাচ্চাদের রঙ্গীণ জামা কাপড় ও জুতায় রয়েছে নানান বৈচিত্র। পাশাপাশি টুপি ও আতরের দোকানেও রয়েছে ক্রেতাদের ভীড়। পাঞ্জাবী, সেলোয়ার, শার্ট, প্যান্ট সহ বিভিন্ন রকম মডেলের জামা তৈরীতে দর্জি শ্রমিকরাও ব্যস্থ সময় পার করছেন । সকাল থেকে সারারাত বিরতিহীন ভাবে চলছে পোষাক তৈরীর কাজ।
এদিকে কেনা-কাটার ভিড় যেমন বেড়েছে ঠিক তেমনি পাশাপাশি বেড়েছে ইভটিজিং ও বখাটেপনার মাত্রাও। বখাটেপনার কারনে ঘর থেকে বেরিয়েই ঈদের কেনা-কাটার সব আনন্দ মাটি হয়ে যাচ্ছে মহিলা ক্রেতাদের। বখাটেদের অশালীন মন্তব্য আর ইচ্ছাকৃত ধাক্কাধাক্কির শিকার বেশির ভাগ তরুনী বাদ যাচ্ছেনা বয়স্ক মহিলারাও।
কেনাকাটা করতে আসা আফসানা আক্তার লাকি বলেন, এবছর বেশিরভাগ দোকানেই অস্বাভাবিক মূল্যে বেচাকেনা করছে। বিশেষ করে গার্মেন্টস পোষাকগুলোতে ফিক্সড রেট নির্ধারণ করা নেই। যার ফলে অনেকেই প্রতারিত হচ্ছে। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে প্রয়োজনীয় পোশাক।
কেনাকাটা করতে আসা আফ্রিন জাহান বলেন, এবার দোকানদারদের চড়া দামের কারনে পরিবারের জন্য কেনাকাটা করাটা কষ্টকর। যে কাপড় ৫০০ টাকায় বিক্রি করার কথা সেটি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে বাধ্য হয়ে আমাদের কিনতে হচ্ছে।
বয়ড়া বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী বেল্লাল হোসেন বলেন, এ বছর বেশিরভাগ ফোরকাট গ্রাউন, ময়ুরপঙ্খী ও পোড়ামনের চাহিদা বেশি। অপরদিকে তরুনদের কাছে বাহারী রংয়ের পাঞ্জাবীর বেশি চাহিদা রয়েছে। মধ্য বয়সি পুরুষদের জন্য দেশি পাঞ্জাবি এবং মহিলাদের কাতান, বেনারশি, জামদানি ও টাঙ্গাইলের শাড়ি বেশি পছন্দ। তবে সকল বয়সীদের জন্যই দেশি পোষাকের পাশাপাশি বাইরের দেশের পোষাক রয়েছে। যেগুলোর চাহিদাও ব্যাপক।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম খান বলেন, পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে বাজারে আসা বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইন-শৃংখলার কোন বিঘœ না ঘটার জন্য পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। সড়কে ও বিপনী বিতান গুলাতে যেন কোন নারী ইভটিজিংয়ের শিকার না হয় সে দিকেও নজর রয়েছে পুলিশ প্রশাসনের।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page