ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি॥
ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের রোওহা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণীর ছাত্রী পুর্ণিমা (৮) নামে এক শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অপহরণের একদিন পর আজ মঙ্গলবার (২৬ জুন) সকাল ৬ঘটিকার সময় রোওহা গ্রামের মোঃ মুন্নাফের বাড়ীর পেছনের বাঁশঝার থেকে পুর্ণিমার লাশ উদ্ধার করে ধামরাই থানা পুলিশ।
নিহত পুর্ণিমার বাড়ী ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের রোওহা গ্রামের মোঃ সামছুল মিয়ার মেয়ে।
এই ব্যাপারে শিশু পুর্ণিমার বাবা মোঃ শামছুল মিয়া জানান,আমার মেয়ে পুর্ণিমা গতকাল সোমবার (২৫জুন) বেলা ২ঘটিকার সময় বাড়ীর পাশে রোওহা বাজারে দেলোয়ারের দোকানে ডিম ও ডাউল আনতে গিয়ে সে আর বাড়ী ফিরে নাই। এর পর আমি এবং আমার স্ত্রী দুইজনে বিভিন্ন জায়গায় খুজা খুজি করে কোথাও পায় নাই।পরে আজ সকালে মুন্নাফের বাড়ীর পেছন দিয়ে গ্রামের লোকজন য়াওয়ার সময় নিহত পুর্ণিমার লাশ দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দেয়।পরে আমি সেখানে গিয়ে আমার মেয়ের লাশ দেখতে পায়।তবে আমার মেয়েকে কেবা কারা হত্যা করেছে তা আমি জানিনা। আপনাদের কাছে আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই। আমি গরীব মানুষ আমি ভ্যান চালিয়ে কোন রকমে দিন পাত চালায়।
এই ব্যাপারে পুর্ণিমার মা ফাহিমা বলেন, আমি সকালে আমার মেয়েকে খাওয়ে স্কুলে পাঠায়। দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ী ফিরে আসার পর দুপুর ২ ঘটিকার সময় আমার মেয়ে বাড়ীর পাশে দেলোয়ারের দোকানে ডিম ও ডাইল আনতে পাঠালে সে আর বাড়ী ফিরে নাই। তবে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে আমি এর বিচার চাই।
এই ব্যাপারে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোঃ বাবুল শরীফ জানান,আমরা খবর পেয়ে নিহত শিশু পুর্ণিমার মরণদেহ উদ্ধার করেছি। তবে শিশুটি ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কিনা তা এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে শিশুটি ধর্ষণ হয়েছে কিনা সেটা তদন্ত শেষে বলা যাবে।মরণদেহটি ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।