বাগেরহাট প্রতিনিধি
কচুয়ায় বিদ্যালয়ের আতœসাৎ করা সরকারী টাকা ফেরৎ চাওয়ায় সভাপতির রোশানলে পড়েছেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা।কচুয়া শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে করা আবেদনে জানাগেছে, উপজেলার দরিচর মালিপাটন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসি সভাপতি ফারুকুল ইসলাম গত ২০১৬-১৭ অথর্ বছরের স্লিপ ফান্ড থেকে সরকারী অনুদান ৩৯ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিজের কাছে রেখে দেয় সভাপতি। পরে কাজ করার জন্য প্রধান শিক্ষক ও অপর সহকারী শিক্ষকরা টাকা চাইলে নানান অজুহাতে বলে ঘুরাতে থাকে। পরে এক পর্যায়ে শিক্ষকদের ঘনঘন তাগাদায় ৩কিস্তিতে ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করে। বাকী ৯হাজার টাকা আর পরিশোধ না করায় পরবর্তিতে শিক্ষকরা টাকা চাইতে গেলে উল্টো শিক্ষকদের হুমকি দেয়।ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরকারী টাকা ফেরত পেতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করে।উপজেলা শিক্ষা কমিটির কাছে সংশ্লিষ্ঠ ক্লাস্টার অফিসার টাকা আতœসাতের বিষয়টি উত্থাপন করলে শিক্ষা কমিটি ওই সভাপতিকে বাদ রেখে এই অর্থবছরে ওই বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতিকে স্লিপ কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ঠ ক্লাস্টার অফিসারকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি ফারুকুল ইসলাম এর সাথে শুক্রবার সোয়া ৪টায় মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা বলেন, স্লিপের টাকা আতœসাত করায় ওই সভাপতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে তাকে বাদ দিয়ে সহসভাপতিকে দিয়ে স্লিপের আর্থিক ব্যায় করানোর জন্য শিক্ষা কমিটিতে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।