স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ব্লুইকোনোমি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম সমুদ্র সীমানা দাবি করেন। বর্তমানে ব্লুইকোনোমিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ভূমিকা প্রশংসনীয়। সমুদ্রপথে মাদকসহ যে কোনো চোরাচালান রোধেও বাহিনীটি সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
বুধবার সকালে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বিভিন্ন দেশের কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে ওয়ার্কিং লেভেল মিটিংয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের আয়োজনে ১৮টি দেশের কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে দু’দিনব্যাপী ১৪তম ‘হেড অব এশিয়ান কোস্ট গার্ড এজেন্সিস মিটিং’ (হ্যাকগাম) শুরু হয়েছে। এতে অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, হংকং, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, তুরস্ক এবং ভিয়েতনামের কোস্টগার্ড, মেরিটাইম এজেন্সি সমূহ এবং রিক্যাপ-আইএসসির ৪১জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদ, মাদকদ্রব্য, চোরাচালান, অবৈধ অস্ত্র, মানবপাচার প্রতিরোধ, অবৈধ মৎস্য আহরণসহ কঠোর অভিযানের মাধ্যমে কোস্টগার্ড দুর্বৃত্তদের প্রতিহত করে আসছে। ব্লুইকোনোমির বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপদ মেরিটাইম পরিবেশের জন্য সব দেশকে একসঙ্গে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি মেরিটাইম বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং নিজস্ব সমুদ্রসীমা দাবি করে একটি টেরিটোরিয়াল ওয়াটার অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস এ্যাক্ট ১৯৭৪ প্রণয়ন করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় ব্লুইকোনমি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। এই সভার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সমুদ্র ও উপকূলবর্তী অঞ্চলে উদ্ধার তৎপরতা, পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ, অবৈধ কর্মকাণ্ড প্রতিরোধসহ পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।