• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন

ব্যাংক খাত নিয়ে অবিশ্বাস দেখা দিয়েছে: গভর্নর

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : রবিবার, ১৫ জুলাই, ২০১৮

সন্দেহ ও অবিশ্বাস ব্যাংকের জন্য একটি অশনি সংকেত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। তিনি বলেন, ব্যাংক খাত নিয়ে মানুষের মধ্যে সন্দেহ ও অবিশ্বাস দেখা দিয়েছে। সন্দেহ ও অবিশ্বাস দূর করতে হলে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সেজন্য সঠিক জায়গায় সঠিক লোক বসাতে হবে। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে তফসিলি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক  প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে ‘মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
গভর্নর বলেন, সম্প্রতি রপ্তানির তুলনায় আমদানির পরিমাণ অনেক বেড়েছে। এটা কেন হচ্ছে? এর পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নজর রাখছে।
ফজলে কবির বলেন, অর্থনীতির গতিধারায় সাধারণত আমদানি ব্যয় বাড়লে রপ্তানি আয়ও বাড়ে। কারণ বিদেশ থেকে যেসব কাঁচামাল আমদানি করা হয় তার একটি অংশ প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে রপ্তানি হয়। তিনি বলেন, ওভার ইনভয়েসিংয়ের নামে বিদেশে অর্থ পাচার আগের থেকে অনেকটাই কমে আসছে।
তিনি বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান উত্স হলো রেমিট্যান্স। কিন্তু গত অর্থবছর জুড়েই দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ নিম্নমুখী ধারায় ছিল। সম্প্রতি রেমিট্যান্স ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। ফলে বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যে ফিরে আসছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচারের ঝুঁকি বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে এটা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন গভর্নর।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সভাপতি ও ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ব্যাংক এশিয়ার ডিএমডি মো. বোরহান উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কনসালটেন্ট দেব প্রসাদ দেবনাথ।
আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, সরকারের বিভিন্ন অ্যান্টি মানিলন্ডারিং কার্যক্রম হাতে নেওয়ার কারণে দেশ থেকে অর্থপাচারের পরিমাণ অনেক কমে গেছে। সমপ্রতি সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ রাখার পরিমাণ কমে যাওয়া তার একটি বড় প্রমাণ। তিনি বলেন, মানিলন্ডরিংয়ে শীর্ষ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ একসময় ৫২তম থাকলেও বর্তমানে ৮২তম স্থানে চলে এসেছে। এটি সম্ভব হয়েছে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে।
সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচার, সন্ত্রাসে অর্থায়ন এখন বিশ্বজুড়ে একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যা মোকাবিলায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
দেব প্রসাদ দেবনাথ বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো সাইবার ক্রাইম। এশিয়ার দেশগুলোতে তুলনামূলকভাবে আইনের শাসন ও সুশাসনের কিছুটা ঘাটতি থাকায় এখানে এ ঝুঁকির পরিমাণ দিনদিন বাড়ছে।
Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page