• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৩ অপরাহ্ন

দুই বন্ধুকে ফাইনাল ‍উপভোগের পরামর্শ নেইমারের

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : রবিবার, ১৫ জুলাই, ২০১৮

মাসখানেক আগে যখন রাশিয়ার মাটিতে পা রেখেছিলেন তিনি, স্বপ্ন ছিল বিশ্বকাপ ট্রফি জেতার। কিন্তু তিনি—নেইমার দা সিলভা স্যান্টোস (জুনিয়র) সেলেসাওদের হেক্সা জয়ের সে স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন নি। নেইমার না পারলেও তার সাবেক ও বর্তমান ক্লাব সতীর্থরা পেরেছেন।
রবিবার মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ জেতার লড়াইয়ে নামবেন ক্রোয়েশিয়ার ইভান র‌্যাকিতিচ এবং ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপে। র‌্যাকিতিচ নেইমারের বার্সেলোনা এবং প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের সতীর্থ।
ফাইনাল ম্যাচের আগে তাই ইনস্টাগ্রামেস এক পোস্টে দু’জনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ব্রাজিল তারকা।
নেইমার বলেছেন, ‘অস্বীকার করছি না, আজ আমিও মাঠে থাকতে চেয়েছিলাম তোমাদের মতো। কিন্তু এই বিশ্বকাপে হল না। দেখা যাক, পরের বার কাতারে কী হয়। তবে আমি তোমাদের দু’জনের জন্যই খুব খুশি। ক্রোয়েশিয়া ও ফ্রান্সের মানুষ যে ভাবে তোমাদের নিয়ে উৎসবে মেতেছে, সেটা দেখতেও খুব ভাল লাগছে।’
র‌্যাকিতিচের সঙ্গে তিনি খেলে এসেছেন বার্সেলোনায়। এমবাপের সঙ্গে খেলছেন পিএসজি-তে। কার দিকে সমর্থনের পাল্লা ঝুঁকে থাকবে? নেইমারের কথায় ইঙ্গিত, বার্সেলোনা মিডফিল্ডারের দিকেই তার সমর্থন থাকবে।
‘আজ রাতে আমি আমার সাবেক ক্লাব বার্সেলোনার সতীর্থ, ‘সোনার ছেলে’র সঙ্গেই আছি।’
এর পরে দু’জনের উদ্দেশে নেইমার বলেন, ‘রবিবারটা খুব ভাল করে উপভোগ করো। এটা মাথায় রেখো, ফাইনালের ফল যাই হোক না কেন, তোমরা ইতিমধ্যেই চ্যাম্পিয়ন ফুটবলার হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছ।’
‘তোমরা দু’জনই যে আমার বন্ধু, এটা ভেবেই আমার গর্ব হচ্ছে। এই ফাইনালটা নিয়ে ফুটবলবিশ্বেরও গর্বিত হওয়া উচিত।’
বিশ্বকাপ ফাইনালের কথা বলতে বলতে নেইমার ফিরে যাচ্ছেন ব্রাজিল প্রসঙ্গে।
‘আমার বলতে বাধা নেই, এই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়াটা আমার ফুটবল জীবনের সব চেয়ে দুঃখজনক মুহূর্ত। যন্ত্রণাটা আরও বেশি হচ্ছে, কারণ আমরা জানতাম, ব্রাজিলের ক্ষমতা ছিল ফাইনালে যাওয়ার। কিন্তু আমরা পারিনি।’
কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের কাছে হেরেই ছিটকে যেতে হয়েছিল ব্রাজিলকে। যে হারটা এখনও মেনে নিতে পারছেন না নেইমার। ‘আমাদের ক্ষমতা ছিল। পরিবেশ, পরিস্থিতিও আমাদের পক্ষে ছিল। আমরা ইতিহাস তৈরি করতে পারতাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেরে বিদায় নিতে হল।’
ক্রোয়েশিয়া তাদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মত ফাইনালে উঠেছে। অন্যদিকে ১৯৯৮ সালের পর আবারো ফ্রান্সের সামনে শিরোপা জয়ের হাতছানি। তাই কে হাসবে শেষ বিজয়ীর হাসি তার জন্য ম্যাচ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষাতেই থাকতে হচ্ছে।
Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page