• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ আসনে মির্জা হারুন অর রশিদ লে: কর্নেল (অব:) বীর প্রতিক এর গণসংযোগ

আপডেটঃ : সোমবার, ১৬ জুলাই, ২০১৮

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি॥
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে আওয়ামীলীগের সম্ভব্য প্রার্থী হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার প্রতিবাদকারী মির্জা হারুন অর রশিদ বীর প্রতিক লে: কর্নেল (অব:) আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমে নিয়মিত সভা সমাবেশ ও গনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। বৃহত্তর জনগোষ্ঠির সেবা করার উদ্দেশ্যে তিনি বিভিন্ন সভা, সমাবেশ, ক্রিড়া-সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদানের মধ্যদিয়ে গোপালপুর-ভূঞাপুরে নিজের অবস্থান তুলে ধরছেন। এ সময় তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে তার পক্ষে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি ও বর্তমান সরকারের দেশ পরিচালনায় সফলতা তুলে ধরছেন। ইতোমধ্যে ভূঞাপুর-গোপালপুরের বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান, শিক্ষা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসহ পাড়া মহল্লায় তার ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও পোষ্টার লাগিয়েছেন। ভূঞাপুর ও গোপালপুর উপজেলা ও ২টি পৌরসভা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সাথে নিয়ে গ্রামে গ্রামে জনসংযোগের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। মির্জা হারুন অর রশিদ বীর প্রতিক লে: কর্নেল (অব:) গণসংযোগে উৎফল্øিত হয়ে উঠেছে গোপালপুর-ভূঞাপুরবাসী। টাঙ্গাইল- ২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন। ভূঞাপুর ও গোপালপুর উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও ২টি পৌর এলাকা  সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দৌড়ে তিনিই এগিয়ে রয়েছেন। টাঙ্গাইল-২ এ আসনটির সরকার দলীয় ইউনিয়ন পর্যায়ের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি ও নেতাকর্মীরা মির্জা হারুন অর রশিদ বীর প্রতিক লে: কর্নেল (অব:) জাতীয় সংসদের মনোনয়ন পেতে পারেন তার জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ মনোনয়ন বোর্ড বরাবরে দাবী জানিয়েছেন।
জননন্দিত এই টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার বেলুয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মৃত মির্জা ডা: হাতেম আলী। মির্জা হারুন অর রশিদ বীর প্রতিক লে: কর্নেল (অব:) ছাত্র জীবনের পুরোটা জুড়ে ছিল আওয়ামী ছাত্রলীগ রাজনীতির চর্চা। বাংলাদেশ সেনাবাহীতে কর্মরত থাকালীন সাহসিকতা ও ভালো কাজের জন্য বীর প্রতিক সম্মান অর্জন করেন। সাম্য, সামাজিক ন্যায় বিচার এবং শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থার পক্ষে লড়ে যাচ্ছেন তিনি। সর্বপরি তার নির্বাচনী এলাকাকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করে মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ^াসী এ নেতা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক হাতকে শক্তিশীলী করার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
মাটি ও মানুষের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ রাজনৈতিক নেতা মির্জা হারুন অর রশিদ বীর প্রতিক লে: কর্নেল (অব:)। গোপালপুর-ভূঞাপুরে অবিরাম চলছে তার পক্ষে প্রচারণা। তিনি যে এলাকায় যাচ্ছেন সে এলাকার মানুষ তাকে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ভিড় করছে। নেতা কর্মীদের পাশাপাশি মাঠ ঘাটে সর্বত্র সাধারণ মানুষের মুখে এখন মির্জা হারুন অর রশিদ বীর প্রতিক লে: কর্নেল (অব:) কে ঘিরেই চলছে তার আলোচনা। তিনি সমাজ ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত কখনও সে বিবেচনা করেন না। দলমত নির্বিশেষে এলাকার মানুষের প্রতি তিনি সব সময় শ্রদ্ধাশীল। কোন লোভ লালসা তাকে কখনও সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি। এলাকার উন্নয়ন, আপদে-বিপদে এগিয়ে আসা এবং মানুষের মঙ্গলে যেকোন কর্মকান্ডে তাকে পাওয়া যায় অগ্রণী সেনানী হিসেবে।

রাজনীতিতে আপনার অবস্থান কি? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী একজন কর্মী হিসাবে জনকল্যাণে কাজ করছি। কি উদ্দেশ্যে আপনি এম.পি হতে চান? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্র জীবন থেকে বিভিন্ন সময় শোষন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছি। নানা প্রতিকুলতা সত্বেও আমার জন্মস্থান গোপালপুর ও ভূঞাপুর বাসীর সেবায় নিজেকে সচেষ্ট রাখার চেষ্টা করছি। তাদের সুখে-দুখে পাশে থাকতে চাই। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের স্বার্থে জনগনের ম্যান্ডেট প্রয়োজন। তাছাড়া গণমানুষের সুখ-দুখের কথা সর্বোচ্চ ফোরাম জাতীয় সংসদে গুরুত্বের সাথে তুলে ধরার জন্য জনগনের রায়ে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে চাই।
গোপালপুর-ভূঞাপুর বাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গোপালপুর-ভূঞাপুরের প্রতিটি মানুষ আমার প্রিয়। সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা পেলে বাকী জীবন আমি তাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখব ইন্শাআল্লাহ্।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ