• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার শ্যালকের প্রার্থীতা প্রত্যাহারে টেলিফোন নির্দেশ নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরার আহ্বান রাষ্ট্রপতির দেশে হিট অ্যালার্ট জারি, শঙ্কায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর দাবি ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্ব প্রতিক্রিয়া নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার সিদ্ধান্ত আইসিসি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা ইসফাহানে ‘বিস্ফোরণের’ শব্দের কারণ জানালো ইরান এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা কারাগার: রিজভী রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা রাজনৈতিক নয়: প্রধানমন্ত্রী

আট জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মিত হচ্ছে ২০ টি বহুমুখী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১৮

রংপুর অফিস॥
রংপুর বিভাগের আট জেলায় বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ২০ টি বহুমুখী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার । বন্যার সময় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হলেও বছরের অন্য সময়ে এসব কেন্দ্রের বহুমুখী  হিসেবে ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র,জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র,  ও কমিউনিটি সেন্টার হিসেবেও ব্যবহৃত হবে। এছাড়াও কৃষিপ্রধান এ অঞ্চলে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমানো ও মোকাবেলার অংশ হিসেবে এসব কেন্দ্র থেকে আগাম সতর্কতা নিশ্চিত করাও সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়ে ‘অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন ও তথ্যের মাধ্যমে দুস্থ জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা বৃদ্ধি প্রকল্প’ বা সংক্ষেপে ‘প্রভাতি’ নামের প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছে ৭৫৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) এই অর্থ সহায়তা দেবে। প্রকল্পের প্রস্তাবনা থেকে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি, সদর, সাদুল্লাপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা। কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর, চিলমারী, রৌমারী, উলিপুর, রাজারহাট, সদর, ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলা; রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলা; নীলফামারী জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা এবং লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলা। এ জন্য দেশের উত্তর-মধ্যাঞ্চলের ছয়টি জেলায় ইফাদের আর্থিক সহযোগিতায় মোট ৭৫৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রকল্পটির প্রস্তাব করা হয়। গত ৭ জুন প্রকল্পটির ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হয়। পিইসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মোট ৭৫৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে চলতি জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য এস এন সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-তিস্তা সংলগ্ন জেলাগুলো বন্যাপ্রবণ। এসব জেলার নির্বাচিত উপজেলাগুলোর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও স্থানীয় মানুষদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য এই কেন্দ্রগুলো নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া বন্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর বিষয়ে গবেষণা ও আগাম সতর্কতা বার্তা দেয়া এবং জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো ও কমিউনিটি শেল্টার নির্মাণের মাধ্যমে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দারিদ্র্য বিমোচনে প্রকল্পটি ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page