মৌলভীবাজার প্রতিনিধি॥
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁঁও একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দোষীদের ফাঁসি হওয়ায় খুশী হয়েছেন গণহত্যায় নিহতের পরিবার, এলাকাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষ।
অনেকেই একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে উল্লাস করতে দেখা গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে রায় প্রকাশ করেন ৪ অপরাধীর ফাঁসির রায় ঘোষনা করে যুদ্ধ অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রায় প্রকাশেন পর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রাসেলের নেতৃত্বে শহরে আনন্দ মিছিল এবং মিষ্টি বিতরণ করেছে ছাত্রলীগ। তারা জানিয়েছেন এই রায়ের মাধ্যে কলংকমুক্ত হল মৌলভীবাজার জেলা।
জানাযায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় আকমল আলী তালুকদার, আব্দুন নূর তালুকদার ওরফে লাল মিয়া, আনিছ মিয়া ও আব্দুল মোছাব্বির এই চার জনের বিরুদ্ধে ৫৯জনকে হত্যা, ৬জনকে ধর্ষণ, ৮১টি বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে এই চারজনকে ফাঁসি প্রদান করেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধ অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
তাদের মধ্যে মাদ্রসা শিক্ষক আকমল ও লাল মিয়া সে সময় মুসলিম লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। আকমল ছিলেন পাঁচগাও ইউনিয়ন শান্তি কমিটির সদস্য।
আকমল আলী ছাড়া অন্য তিন আসামী পলাতক আছেন। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে লাল মিয়া, আনিছ ও মোছাব্বির পালিয়ে যান। তার আগে তারা জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী দাবী জানিয়েছে যতদ্রুত সম্ভব পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করে রায় কার্যকর করার।
মৌলভীবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামাল উদ্দিন আনন্দ প্রকাশ করে জানান, এই রায়ে মৌলভীবাজার কলংকমুক্ত হয়েছে। এত বছর পরেও আমরা বিচার পেয়েছি তাই আনন্দিত। তিনি দ্রুত রায় কার্যকরের দাবী জানাই।
প্রসঙ্গ ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর এই চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। ওইদিনই রাজনগরের পাঁচগাঁও গ্রাম থেকে আকমল আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত এই উপাধ্যক্ষকে পরে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
জানাযায়. আসামিদের মধ্যে ৭৯ বছর বয়সী আকমল আলী তালুকদার কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিন আসামি আব্দুন নূর তালুকদার ওরফে লাল মিয়া (৬৬), আনিছ মিয়া (৮০) ও আব্দুল মোছাব্বির মিয়া (৬৭) পলাতক।
You cannot copy content of this page