• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন

তদবিরে তকদির মিলে তানোরে ক্ষেত্র সহকারি আনসারের দূর্নীতি ধামাচাঁপা

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : সোমবার, ২৩ জুলাই, ২০১৮

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি॥
রাজশাহীর তানোর উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী আনসার আলীর বিরুদ্ধে উঙ্খাপিত বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগের বিভাগীয় তদন্ত শুরু ও সম্পন্ন করেছেন মৎস্য বিভাগের উচ্চ পর্যায়েরর কর্মকর্তাগণ। এদিকে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও তদন্ত প্রতিবেদন এখানো আলোর মূখ দেখেনি বলে গুঞ্জন উঠেছে। বিগত ২০১৬ সালের ১৮ আগষ্ট বৃহ¯প্রতিবার রাজশাহী বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান দিনব্যাপী এই তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (তৎকালিন) আরাফাত সিদ্দিকী, সহকারি মৎম্য কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম প্রমূখ। এদিন তদন্ত কর্মকর্তা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারি, বিভিন্ন মৎস্য ব্যবসায়ী ও মৎস্য চাষীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মৎস্য চাষি অভিযোগ করে বলেন, ক্ষেত্র সহকারী আনসার আলী ঘটনা ধামাচাঁপা দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন তার পক্ষে নিতে বড় অঙ্কের অর্থ নিয়ে বিভিন্ন মহলে দৌড়-ঝাপ, দেন-দরবার করে (তকদির) ঘটনা ধাঁমাচাপা দিয়ে এখানো বহাল তবিওতে রয়েছে। আবার বড় অঙ্কের আর্থিক সুবিধার বিসিময়ে ক্ষেত্র সহকারি আনসার আলি তদন্ত কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে প্রতিবেদন তাঁর পক্ষে নিয়েছেস বলেও সাধারণের মধ্যে ব্যাপক প্রচার রয়েছে। সাধারণের অভিযোগ সরকারি চাকরি বিধি লঙ্ঘন করে আনসার আলি প্রায় ২৭ বছর ধরে একই কর্মস্থলে রয়েছে, এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠলেও সবকিছু ম্যানেজ করে এথানো একই কর্মস্থলে বীরদর্পে চাকরি করে যাচ্ছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ক্ষেত্র সহকারী আনসার আলীর বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতি নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ হলে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসব প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ক্ষেত্র সহকারী আনসার আলীর বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে।  এব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শরিফুল ইসলাম বলেন, ক্ষেত্র সহকারী আনসার আলীর বিরুদ্ধে ইতমধ্যে বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন তবে প্রতিবেদনের বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নাই। এব্যাপারে ক্ষেত্র সহকারী আনসার আলী সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি কোনো অনিয়ম-দূর্নীতি করেননি কাজেই তার বিরুদ্ধে একবার কেনো একশ’ বার তদন্ত করা হলেও তার কিছু যায় আসে না। তিনি বলেন, তাকে বদলি করা হয়নি তাই তিনি এখানে রয়েছেন, বদলি করা হলে তিনি চলে যাবেন এটা নিয়ে তার কোনো আক্ষেপ নাই।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page