বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের চারদিকে কেন জানি একটা অস্বস্তিকর, অন্ধকার পরিবেশ। আমরা যদি গোটা বিশ্ব, পৃথিবীর দিকে থাকাই তাহলে যুদ্ধ, বিগ্রহ, হত্যা, অন্যায় চলছে। দেশে খবরের কাগজের পাতা যখন উল্টাই তখন দেখি এখানে আমাদের শিশুদের ওপর নির্যাতন চলছে, আমাদের মায়েরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, আমাদের ভাইয়েরা নির্যাতন-নিপীড়নের মুখে পড়ছে। তখন সত্যিকার অর্থেই আমরা ব্যথিত হই, বিপর্যস্ত হই। কখনও কখনও মনে হয় আসলে কি চারদিকে অন্ধকার। আলো কি নেই? অবশ্যই আলো আছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন হলরুমে সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি অভিনয়ে জাতীয় শিশুশিল্পী প্রতিযোগিতা ‘শাপলাকুড়ি’ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আয়োজন করে জিয়া শিশু একাডেমি।
সংগঠনের পরিচালক এম. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কণ্ঠশিল্পী খুরশীদ আলম, শিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা, জিনাত রেহানা, চলচ্চিত্রকার সোহানুর রহমান, ছটকু আহমেদ, শিল্পী ইভান শাহরিয়ার সোহাগ,অভিনেত্রী মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী প্রমুখ।
ফখরুল বলেন, দেশটি আমাদের। আমরা সবাই জানি- আমাদের যোদ্ধারা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। এই দেশটি আমাদের সুন্দর করে গড়ে তুলতে হবে। দেশটিকে বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য যেমন আমাদের দায়িত্ব রয়েছে, একইভাবে এর জন্য শিশুদেরও তৈরি হওয়ার একটি দায়িত্ব রয়েছে।
শিশুদের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, তোমরা পাখা বন্ধ করো না, তোমরা উড়ে যাও। একদিন না একদিন তোমরা তীরে পৌঁছাবেই।
তিনি বলেন, জিয়া শিশু একাডেমি আজকে আমাকে একটি ভিন্ন জগতে নিয়ে এসেছে। যদিও এই জগতটি আমার শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের। আমি এই জগতেরই একজন মানুষ ছিলাম। আমার সামনে এখন বসে আছেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার ছটকু আহমেদ। সৌভাগ্য হয়েছিল, আমার তার (ছটকু) সঙ্গে নাট্য জগতে ঠাকুরগাঁও-এ, যেখানে আমার জন্ম সেখানে অনেকগুলো নাটকে এক সঙ্গে কাজ করেছি। সেই জীবন ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।
অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে শাপলাকুঁড়ির একঝাঁক খুদে শিল্পীরা।
প্রাথমিক নির্বাচনে বিজয়ীরাই দ্বিতীয় পর্বের ‘ক’ ও ‘খ’ বিভাগে- সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি অভিনয়ের বিভিন্ন শাখার বিষয়ভিত্তিক নির্বাচনে অংশ নেবে। এখান থেকে নির্বাচিত হবে ১ম, ২য় ও ৩য় বিজয়ী। সংগীত, নৃত্য ও অভিনয়ের সর্বোচ্চ ৭৫ খুদে শিল্পীকে নিয়ে ৩৬টি পর্বের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে ‘শাপলাকুঁড়ি চ্যাম্পিয়ন’। পুরস্কার হিসেবে চ্যাম্পিয়নের জন্য থাকবে ৬ লাখ টাকা।