• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

বিচারাধীন মামলার বিপরীতে বিচারক সংখ্যাও অপ্রতুল: প্রধান বিচারপতি

আপডেটঃ : সোমবার, ৩০ জুলাই, ২০১৮

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, বর্তমানে দেশের আদালতসূমহে ৩৪ লক্ষ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এই পরিমাণ মামলার বিপরীতে আমাদের বিচারক রয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৬৪৭ জন। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে তিন কোটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তবে এর বিপরীতে বিচারক রয়েছেন ২৩ হাজার জন।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জনসংখ্যার আধিক্যের কারণেই দেশে আদালতগুলোতে মামলার সংখ্যা বাড়ছে। তুলনামূলকভাবে বিচারাধীন মামলার বিপরীতে আমাদের বিচারক সংখ্যাও অপ্রতুল।
রবিবার ‘ন্যাশনাল জাস্টিস অডিট-২০১৮’ শীর্ষক ওয়েব সাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এ সব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশে ১০ লক্ষ লোকের বিপরীতে ১০ জন বিচারক রয়েছেন। কিন্তু আমেরিকায় প্রতি ১০ লক্ষে বিচারক রয়েছেন ১০৭ জন, কানাডায় ৭৫ জন, ইংল্যান্ডে ৫১ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ৪১ জন এবং ভারতে ১৮ জন।
তিনি বলেন, ভারতে একজন বিচারকের বিপরীতে ১ হাজার ৩৫০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে এবং ওই বিচারক বছরে ৫১৬টি মামলা নিষ্পত্তি করছে। আর বাংলাদেশে একজন বিচারকের বিপরীতে ২ হাজার ১২৫টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমাদের একজন বিচারক বছরে নিষ্পত্তি করছে ৭০০ মামলা।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার গুণগত মানোন্নয়ন এবং বিদ্যমান মামলাজট নিরসনে ন্যাশনাল জাস্টিস অডিট কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। দেশের বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা সম্পর্কে আমরা কমবেশি সকলেই জানি। এর অনেক কারণ রয়েছে। যেগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করা দরকার। ন্যাশনাল জাস্টিস অডিট এই কারণগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করবে এবং সরকারি নীতি প্রণয়নে সহায়তা করবে।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কালের পরিক্রমায় মৃত্যুদণ্ড সারা বিশ্বে এখন আর গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু আমরা মৃত্যুদণ্ড থেকে দূরে সরে যাবো না। আমাদের এই অবস্থানের সঙ্গে বিদেশি সরকারের অবস্থানের কিছু পার্থক্য আছে। আমরা সেই পার্থক্যটা নিরসন করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দু’জন আসামিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। এ কারণে বিলম্ব হচ্ছে।
রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ন্যাশনাল জাস্টিস অডিট বাংলাদেশ’ এর ওয়েব সাইট উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রী। আইন মন্ত্রণালয় এবং জার্মান সহযোগিতা সংস্থা জিআইজেড যৌথভাবে এ ওয়েব সাইট নির্মাণ করে। অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির উপরাষ্ট্রদূত মিকায়েল এসচুলথেইস, যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সংস্থা ডিএফআইডির বাংলাদেশ প্রধান জেন এডমনডসন, আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, জিআইজেড- এর রুল অব ল বিভাগের বাংলদেশ প্রধান প্রমিতা সেন গুপ্ত, যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ম্যাপিং সেন্টারের পরিচালক জোসেফ এরিক ক্যাডোরা প্রমুখ বক্তৃতা করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ