• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৯ অপরাহ্ন

সরকার দিনরাত বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে: রিজভী

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৯ আগস্ট, ২০১৮

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ তাদের নিজস্ব মিডিয়া দিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে দিনরাত নোংরা অপপ্রচারে মেতে উঠেছে। গুজবের আশ্রয় নিয়েছে। জনমনকে বিভ্রান্ত করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার জন্য সরকারি প্রপাগান্ডা মেশিন দিনরাত কাজ করছে। তারা পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্জলা মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে। এমনকি নিজস্ব মিডিয়া দিয়ে ছাত্র আন্দোলনের সহিংসতায় বিএনপিকে জড়াতে কুৎসিত অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। আমরা এর নিন্দা জানাচ্ছি।
বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
‘দেশে যখন শান্তিময় অবস্থা বিরাজ করছে, ঠিক সে সময়ে ১/১১-এর কুশীলবরা আবারও রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমে  ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করেন রিজভী। তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন ১/১১-এর কুশীলব কারা? তাহলে আপনারা কে? আপনাদের আন্দোলনের ফসলইতো ১/১১। আপনিইতো ১/১১-এর প্রক্রিয়াকে মহিমান্বিত করে তা ‘পাঠশালা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।
তিনি বলেন, এক-এগারোর সরকারের সব অপরাধ ও বেআইনি কাজ বৈধতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল। তাদের পৃষ্ঠপোশকতায় ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় তারা। জনগণের ইচ্ছাকে হানাদার বাহিনীর মতো পদদলিত করে র‌্যাব-পুলিশকে নিজেদের মতো সাজিয়ে, ছাত্রলীগ-যুবলীগ-শ্রমিক লীগকে বেআইনি অস্ত্রে সজ্জিত করে গণতন্ত্রকে নিশ্চিহ্ন করার পরও ১/১১’র কুশীলব নিয়ে কথা বললে মানুষ মুখ টিপে হাসে। কারণ, জোরে হাসলে গুম হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ শিক্ষার্থীকে কোমরে দড়ি লাগিয়ে রিমান্ডে নেওয়ার নিন্দা জানিয়ে রিজভী বলেন, এটা যেন গোটা ছাত্রসমাজের কোমরে দড়ি বেঁধে টেনে নেওয়া হচ্ছে। এটা জাতির জন্য শুধু লজ্জার নয়, এ দৃশ্য দেখে মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে।
রিজভী বলেন, আপনারা যতই ধাপ্পাবাজি করুন না কেনো, জনগণের কাছে জবাব দেয়ার সময় হয়ে গেছে। জবাব দিতে হবে পাথর লুটের, কয়লা লুটের, ব্যাংক লুটের, শেয়ারবাজার লুটসহ সমস্ত আর্থিক খাত ধ্বংসের। জবাব দিতে হবে অসংখ্য গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যার। জবাব দিতে হবে গণতন্ত্র হত্যার, রাজনীতি ধ্বংস করার, মানুষের ভোটাধিকার হরণের। জবাব দিতে হবে বাকস্বাধীনতা হরণের। জবাব দিতে হবে তরুণ সমাজের সঙ্গে প্রতারণার। ষড়যন্ত্রের কথা বলে পার পাওয়া যাবে না।
Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page