তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি॥
রাজশাহীর তানোরে শীব নদীর ওপর নির্মিত সেতুর দুপাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারি ও ঠিকাদার মিলেমিশে সরকারি অর্থ তছরুপ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। প্রায় বার বছর ধরে একাধিকবার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হলেও নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে রয়েছে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ। জানা গেছে, বিগত ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে রাজশাহীর তানোর ও মোহনপুর দুই উপজেলার মানুষের যোগাযোগের জন্য শীব নদীর ওপর ২১০ মিটার সেতুটির নির্মাণ কাজ হাতে নেয়া হয়। সেতুটির নির্মাণ কাজের জন্য ওই সময় প্রায় ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাইনুল এন্টার প্রাইজ মাত্র ৩০ শতাংশ কাজ করে প্রায় ২ কোটি টাকা উত্তোলন করে কাজ বন্ধ করে দেয়। এর পর ২০১০ সালে নতুন করে আবারও দরপত্রের মাধ্যমে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মেসার্স রানা বিলডার্সকে কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১২ সালে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কিন্তু দীর্ঘ কার বছরেও সেতুর দুপাশের সংযোগ সড়কের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি।
সুত্র জানায়, প্রায় ১ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য প্রথমে সাড়ে ৫ কোটি ব্যয় ধরা হয়। এর পর দ্বিতীয় দফায় প্রায় সাড়ে ৬ কোটি ও তৃতীয় দফায় ব্যয় বাড়িয়ে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা করা হয়। এভাবে দীর্ঘ ১২ বছরে ওই সংযোগ সড়কের পিছনে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে । কিন্তু সড়কের নির্মাণ কাজ আজ সম্পন্ন হয়নি । আবার যতটুকু হয়েছে তাও দেখভালের অভাবে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে পড়ছে। গোল্লপাড়া বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সারোয়ার জাহানসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, শীব নদীর ওপর দিয়ে নির্মিত সেতু ও সংযোগ সড়কের কাজ এক যুগ আগে শুরু হয়েছে ।কিন্তু সেতুর কাজ শেষ হলেও বছরের পর বছর সংযোগ সড়কের কাজ চলছে কবে নাগাদ শেষ হবে তা কেউ জানে না। অথচ সংযোগ সড়কের নামে বারবার বরাদ্দ এনে এলজিইডির কর্মকর্তা ও ঠিকাদার লুটেপুটে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন । সরেজমিন, দেখা গেছে, সেতুর পূর্ব দিকের সড়ক ভেঙ্গে সরু হয়েছে ও উত্তর দক্ষিনে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙ্গন। তবে ভাঙ্গন রোধে টিনের বেড়া দিয়ে সেখানে ভিজে কাঁদা মাটি দেয়া হচ্ছে। সেতুর পূর্ব দিকের সড়ক ভাঙ্গন রোদে সড়কে উত্তরে নির্মাণ করা হয়েছিল প্রটেকশান ওয়াল সেটি নদীর পানিতে ডুবে গেছে কোনো কাজে আসেনি।
এব্যাপারে এলজিইডির রাজশাহীর তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বলেন সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজের কোন অনিয়ম হয়নি। তবে বর্ষার ভেঙ্গে গেলে সেটাকে মেরামত করা হয় বলে জানান তিনি। এব্যাপারে তানোর এলজিইডির এসও হাবিব জানান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিজ খরচে মেরামত করা হচ্ছে বলে এড়িয়ে যান ।
You cannot copy content of this page