• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন

যেকোনো মুহূর্তে সরকার হুড়মুড় করে পড়ে যাবে: রিজভী

আপডেটঃ : সোমবার, ২০ আগস্ট, ২০১৮

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মানুষের মনে ঈদের কোনো আনন্দ নেই। দেশে যে অবস্থা চলছে এর যাতাকলে পিষ্ট হয়ে গোটা জাতি আজ আতঙ্কিত উৎকণ্ঠিত। জবাবদিহিতার দিন ঘনিয়ে আসছে। ঈশান কোনে কালো মেঘ দেখা দিয়েছে, যে কোনো মুহূর্তে কালবৈশাখির ঝাপ্টায় সরকার হুড়মুড় করে পড়ে যাবে।
আজ সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, শুধুমাত্র কিছু সংখ্যক আওয়ামী ভাবাপন্ন লোক হয়ত তাদের নিজেদের নিরাপদ মনে করতে পারে, কিন্তু বিএনপিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, দেশের সাধারণ মানুষ, শিক্ষক, সাংবাদিক, পেশাজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধরাণ শিক্ষার্থী, কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা এখন সরকারের নানা বাহিনী দ্বারা আক্রান্ত, ক্ষতবিক্ষত।
এতদিন শুধু বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা, জেল-জুলুম, নির্যাতন নিপীড়নের খড়গ চলছিল। চলছিল অপহরণ, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা। এখন হামলা, মামলা, রিমান্ড এমনকি তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরীহ শিক্ষার্থীদের।
স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরাও রেহাই পাচ্ছে না অবৈধ শাসক গোষ্ঠীর হিংস্র আক্রমণ থেকে। নিরীহ ও নিরপরাধ শিক্ষার্থীরা ন্যায় সঙ্গত ও যৌক্তিক আন্দোলনে অংশ নিয়ে ন্যায্য দাবিতে প্রতিবাদ করে এখন তারা কারাবন্দি’।
তিনি বলেন, ছাত্ররা তাদের সহপাঠী জীবন বাঁচাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ন্যায় সঙ্গত প্রতিবাদ করেছিল সেটা কি অপরাধ? শিক্ষার্থীদের ন্যায় সঙ্গত কোটা সংস্কার আন্দোলন কি অপরাধ ?  অন্যায়ের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশ করা কি অপরাধ? বেআইন অস্ত্রে সজ্জিত হেলমেটধারী সরকারি দলের ক্যাডাররা ধাওয়া করে শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করে রক্তাক্ত করা কি ন্যায় সঙ্গত? আওয়ামী ক্যাডারদের হাতে আইন তুলে নেওয়া কি বৈধ কাজ? তাদের নামে মামলা কেন হলো না? তারা কেন গ্রেফতার হলো না? গ্রেফতারের পর তাদের রিমান্ড হলো কেন? তারা কেন এখন কারাগারে নেই?
মনে হয় সরকারি দলের ক্যাডারদের প্রকাশ্যে সহিংস সন্ত্রাসের জন্য লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। সে কারণে তারা আইনের উর্ধ্বে। সেজন্যেই প্রধানমন্ত্রী নিজ দলীয় ক্যাডারদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন অথচ আহত কোমলমতি শিক্ষার্থী ও আহত সাংবাদিকদের না দেখতে গিয়ে অবজ্ঞা করেছেন।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কিভাবে জালনথির ওপর ভিত্তি করে মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার বন্দি করে রেখেছে। তিনি বার বার উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও নতুন নতুন মামলা ও অজুহাত দেখিয়ে তাঁকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরও তাঁকে চিকিৎসা না দিয়ে নানাভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত পরশু থেকে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বরেণ্য আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে তাঁর নিজ গ্রামের বাড়িতে পুলিশ অবরুদ্ধ করে রেখেছে, পুলিশ আজও অবরোধ তুলেনি। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশেই ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ড. মামুন আহমেদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ