• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন

রাজশাহী-১ আসনে তৃণমূল ফারুককেই চাই

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : সোমবার, ২০ আগস্ট, ২০১৮

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি॥
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি সংসদীয় আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং (সাবেক) শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরী এমপির ওপরই ফের আস্থা ও ভরসা রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আগামি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের চতুর্থ বারের মতো তাকেই দলীয় মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে মাঠ গোছানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে দেশের প্রথম শ্রেণীর দায়িত্বশীল একটি (প্রিন্ট মিডিয়া) গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। সূত্র জানায়, রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুল জল্পনা-কল্পনা, আলোচনা-পর্যালোচনার অবসান ঘটিয়ে চতুর্থ বারের মতো আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধূরী এমপি। অথচ তার এই মনোনয়ন ঠেকাতে আরামের ঘুম হারাম করে দলীয় নেতাকর্মীদের বিপধগামী করার চেস্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে দলের জনবিচ্ছিন্ন একশ্রেণীর নেতাকর্মী। রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজেদের কুকর্ম আড়াল ঢাকতে অন্যর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এছাড়াও এমপিকে জিম্মি করে রাজনীতি করার কৌশল নিয়ে এমপির বিরুদ্ধে বিষোদাগার করে তৃণমূলে তারা নিজেরাই চরম বিপাকে পড়েছে। ওমর ফারুক চৌধূরী তৃণমূলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে নির্বাচনী এলাকার আপামর জনগণের কাছে এখানো যোগ্য প্রার্থী। এলাকার সার্বিক উন্নয়নের ফলে সকল শ্রেষী-পেশার ভোটারদের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার কোনো কমতি নেই। এই আসনে আগামি নির্বাচনে তিনিই আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে হাইকমান্ডের দায়িত্বশীল সূত্র এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রার্থীর পারিবারিক ও আর্থিক অবস্থান, উন্নয়ন কাজের মানসিকতা, নেতৃত্বগুন, দল-নেতা ও নেতৃত্বের প্রতি বিশ্বাস, তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা, শারীরিক-মানসিক দৃঢতা, ব্যক্তি ইমেজ এবং রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ইত্যাদি বিচার-বিশ্লেণণ ও পর্যালোচনা করে সারাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রথম পর্যায়ে প্রাথমিক ভাবে ১৫১টি সংসদীয় আসনে সাম্ভব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছেন, যেখানে রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নাম এসেছে ওমর ফারুক চৌধূরীর। এদিকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত এই খবর তৃণমূলে ছড়িয়ে পড়লে এমপি ফারুকবিরোধী শিবিরের চোখেমূখে চরম হতাশার চিত্র ফুটে উঠেছে, উবে গেছে স্বপ্ন দিয়েছে রণেভঙ্গ বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, এমপি ফারুক চৌধূরী শহীদ পরিবারের সন্তান ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান হেনার ভাগ্নে এছাড়াও তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে রাজশাহী আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন, দু’বার সাংসদ ও একবার প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন, এছাড়াও দলের প্রতি বিশস্ত কারণ জেলা পরিষদ নির্বাচনে অবৈধ সুবিধার বিনিময়ে অধিকাংশ নেতা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামলেও একমাত্র ফারুক চৌধূরী দলের সঙ্গে বেঈমানি না করে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ছিলেন। এসব বিবেচনায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সিলেক্শনের (বিশেষ পচ্ছন্দ) মাধ্যমে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করেছেন, ফলে এসব বিবেচনায় তিনি তো শেখ হাসিনারই প্রতিনিধি, তাহলে যারা তার বিরোধীতা করছে তারা তো পরোক্ষভাবে শেখ হাসিনারই বিরোধীতা করছে বিষয়টি তাই নয় কি ? তাহলে তারা এই সরল সমিকরণ টা বুঝছেন না কোনো ? না কি ? বুঝে-শুনেই এসব করছেন তাহলে তাদের মতলব টা কি ? নৌকাকে বিজয়ী করা না নেতার ওপর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে নৌকার বিরোধীতা করে নৌকার পরাজয় ঘটানো, যদি অন্য কেউ মনোনয়ন পায় তাহলে জেলা সভাপতি হিসেবে কি তার প্রয়োজন হবে না। আবার এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ওঠা উঙ্খাপিত অভিযোগগুলো যদি বির্তকের খাতিরে সত্য বলে বিবেচনা করা হয় তার পরেও তো এখানে তার কোনো বিকল্প নেতৃত্ব নাই তাহলে কেনো তার বিরুদ্ধে এতো অপপ্রচার। তৃণমূলের অভিমত, যারা এমপি ফারুকের বিরোধীতা করে বিষোদাগার বা অপপ্রচার করছে তারা যদি সত্যিই বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের আদর্শকে বুকে ধারণ করে থাকে তাহলে তারা  এসব না করে বরং তার বিরুদ্ধে যদি শক্ত কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে তাকে তা শোধরানোর সুযোগ দিয়ে তাকে বিজয়ী করার লক্ষ্য নিয়ে তার সঙ্গে তাদের চলার কথা। কিšত্ত তারা তো তা করছে না বরং আওয়ামী লীগে থেকে আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করে জামায়াত-বিএনপির বি-টিম হয়ে রাজনীতির মাঠে কাজ করছে। অথচ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে (একজন নেতা) এমপি ফারুকের এতো  অর্জন থাকার পরেও তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে দলীয় মনোনয়ন দিবেন এটা তো আওয়ামী লীগ বিরোধীরা বিশ্বাষ করে না। আবার যারা এমপি হবার খোয়াব ও প্রার্থী হবার দিবাস্বপ্ন দেখছেন তারা কি এখানে ভোট করে নির্বাচিত হবার মতো গ্রহণযোগ্যতা রাখে, না তাদের সেই জনপ্রিয়তা রয়েছে, তাহলে মনোনয়ন পাবেন না এটা নিশ্চিত হয়েও কেনো মনোনয়নের কথা বলে রাজসীতির মাঠে পানি ঘোলা করা হচ্ছে, আসলেই কি এরা মনোনয়ন চাই, না নেপথ্যে অন্যকিছু রয়েছে। তৃণমূলের অভিমত, এরা আসলে এমপিকে জিম্মি করতে ব্যর্থ হয়ে তার পরাজয় ঘটানোর জন্য বিশেষ মহলের নেপথ্যে মদদে জামায়াত-বিএনপির বি-টিম হয়ে কাজ করছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণের অভিমত, প্রচার সংখ্যা ও পাঠকপ্রিয়তার দেশের প্রায় শীর্ষে রয়েছে গণমাধ্যমটির অবস্থান। ফলে এমন দায়িত্বষীল একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরকে সত্য বলেই ধরে নেয়া যায়। রাজশাহী-১ আসনের রাজনৈতিক অঙ্গনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে এতোদিন যেসব আলোচনা বিরাজমান ছিল গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওই খবরের মধ্য দিয়ে সেসব আলোচনার সমাপ্তি ঘটেছে। কারণ হিসেবে দেখা এমপি ফারুক চৌধূরীকে নিয়ে যত ধরণের বিতর্কই সৃষ্টি করা হোক না কেনো এখানে তাকে উপেক্ষা করে তার শূণ্য স্থান পূরুণের মতো সবল নেতৃত্ব এখানো আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে গড়ে উঠেনি। বিশ্লেষকরা বলছে, আবার যদি বিএনপি থেকে সাবেক ডাকমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক প্রার্থী হয় তাহলে প্রতিপক্ষ প্রাথীকে টেক্কা দিয়ে বিজয়ী হওয়ার মতো সাহস-মনোবল, কর্মীবাহিনী ও গ্রহণযোগ্যতা আওয়ামী লীগে কেবলমাত্র ফারুক চৌধূরীর মধ্যেই বিরাজমান রয়েছে। এছাড়াও বিএনপি-জামায়াতের ঘাঁটি বলে পরিচিত রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের আজকের যেই শক্ত অবস্থান ও জয়জয়কার তা এমপি ফারুক চৌধূরী নেতৃত্বে আসার পরে তার নেতৃত্বে ও হাত ধরেই হয়েছে এটা দিবালোকের মতো সত্য। এসব বিবেচনায় আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসনে আবারো এমপি ফারুক চৌধূরী নৌকার মাঝি হচ্ছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এব্যাপারে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক শরীফ খাঁন বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তবে এখানে এমপি ফারুক চৌধূরীর বিকল্প কোনো নেতৃত্ব এখানো গড়ে উঠেনি, কাজেই তিনিই আবারো নৌকার মাঝি হবেন এটাই স্বাভাবিক ও নিশ্চিত।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page