• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৩ অপরাহ্ন

রাজশাহী-১ আসনে নজরকাড়া টেকশই ও দৃশ্যমান উন্নয়ন

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : সোমবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৮

তানোর প্রতিনিধি॥
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে স্থানীয় সাংসদ ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধূরীর কোনো বিকল্প নাই তার হাতে নির্বাচনী এলাকায় নজরকাড়া টেকশই ও দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। রাজনৈতিক সহাবস্থান সৃষ্টি, উন্নয়ন, কর্মী ও জনবান্ধব নেতা হিসেবে এমপি ওমর ফারুক চৌধূরী এখানো এই অঞ্চলের সব শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয়। এদিকে এমপি ফারুক চৌধূরীর ওপর দলের নেতাকর্মী বা সাধারণ মানুষের কোনো ক্ষোভ বা অসন্তোষ নাই। কিšত্ত তার জনপ্রিয়তার সর্বনাশ করছে খোলস পাল্টিয়ে দলে অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিড কিছু জনবিচ্ছিন্ন বগি নেতা যেটা দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। তৃণমূলের অভিমত এসব অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিডরা কখনো আওয়ামী লীগ ছিলনা, এখানো নাই, আগামিতেও থাকবে না, তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরা আওয়ামী লীগে ভোট দিবেন কি না সেটাই তারা নিশ্চিত নয়। কিšত্ত এরা আওয়ামী লীগের চাদর গায়ে নিজেদের পকেটভারী করার জন্য নানা অপকর্ম ও বির্তকিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে, যার দায় অনেকটাই পড়ছে দলের ওপরে। এদের বিষয়ে এখানোই সতর্ক না হলে আগামিতে আওয়ামী লীগকে চড়া মূল্য দিতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে তৃণমূল।স্থানীয়  রাজনৈতিক বিশ্লেকদের অভিমত, দলে নেতৃতেÍ প্রতিযোগীতা নিয়ে নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও  দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের মধ্যে এমপি ফারুক চৌধূরীর যেই পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ ও জনপ্রিয়তা রয়েছে তাতে তিনি আবারো এমপি নির্বাচিত হবেন সে বিষয়ে কারো কোনো দ্বিমত নাই। কারণ রাজনৈতিক বিবেচনায় নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনি কখানোই রাজনীতি করেননি। আবার তার বিরুদ্ধে যত কথায় বলা হোক নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখানো তার বিকল্প কোনো নেতৃত্ব গড়ে উঠেনি।
জানা গেছে, বিগত প্রায় নয় বছরে  এমপি ফারুক চৌধূরীর প্রচেষ্টায় তানোর-গোদাগাড়ী এলাকার টেকসই, দৃশ্যমান ও নজরকাড়া উন্নয়ন হয়েছে যা বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রায় ১৫ বছরের উন্নয়নকে ছাড়িয়েছে গেছে। বরেন্দ্র অঞ্চলের অর্ন্তভুক্ত তানোর-গোদাগাড়ীর প্রত্যন্ত ও দূর্গম পল্লীর মেঠোপথ পাকাকরণ, সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে সড়ক আলোকরণ, থেকে শুরু কের স্কুল-কলেজ ও মাদরাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নির্মিত হয়েছে আধূনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন দৃষ্টিনন্দন সব নতুন নতুন একাডেমিক ভবন। অথচ বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রায় ১৫ বছরেও এসব হয়নি বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীর রাজনৈদিক দূরদর্শিতা ও দক্ষ  নেতৃত্বে এই সংসদীয় এলকায় গত আট বছরে উন্নয়নের দিক থেকে সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। কৃষক ও মৎস্যজীবীদের ভাগ্যর চাকা ঘুরেছে চাঙ্গা হয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতি গতি। এছাড়া এই নির্বাচনী এলাকায় বিগত যে কোন সময়ের চেয়ে আইন-শৃঙ্খালা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, রয়েছে রাজনৈতিক সহাবস্থান এবং বন্ধ হয়েছে হানাহানি বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) তানোর ও গোদাগাড়ী অফিসের তথ্য মতে, ১৯৯১ সাল থেকে ১৫ বছর এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন বিএনপি নেতা ব্যারিষ্টার আমিনুল হক। পরে তিনি মন্ত্রীও হয়েছিলেন। তার আমলে তানোর উপজেলায় ১৮০ ও গোদাগাড়ী উপজেলায় ২১০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা তৈরি হয়েছিল। আর ২০০৮ সালে ওই আসনে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী সরকারের শেষ সময়ে শিল্প প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। আথচ তার স্বল্প সময়ের মধ্যেই গত আট বছরে তানোর উপজেলায় নতুন পাঁকা রাস্তা হয়েছে ১৭৫ কিলোমিটার ও গোদাগাড়ী উপজেলায় হয়েছে ২০৫ কিলোমিটার। এছাড়াও এই দু’  উপজেলায় পুরাতন ভেঙ্গে যাওয়া প্রায় ২১০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে দু’উপজেলায় ৬২টি স্কুল, কলেজে ও মাদরাসার এক থেকে চারতলা পর্যন্ত  আধূনিক ও দৃষ্টিনন্দন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং আরো চারতলা বিশিষ্ট প্রায় ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধূনিক ও দৃষ্টিনন্দন একাডেমিক ববনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এমপি ফারুক চৌধূরীর সময়ে আধূনিক ও দৃষ্টিনন্দন যে বিপুল পরিমাণ একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ১৫ বছরেও এর সিকিভাগও নির্মাণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগণ। এঝাড়াও শুধুমাত্র এমপি ফারুক চৌধূরীর প্রচেস্টায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে হলেও কৃষি প্রধান তানোরে কোল্ডস্টোর ও পোল্টি ফার্ম (ডিম উৎপাদন) ও বিভিন্ন রকমের কৃষিভিত্তিক শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তানোর উপজেলার প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গত আট বছরে তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলার অবকাঠানোসহ বিভিন্ন পর্যায়ের উন্নয়নে কয়েকশ’ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে। যার মাধ্যমে রাস্তা ঘাট নির্মাণ ও সংস্কার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণসহ উন্নয়ন মুলক কাজ করা হয়েছে। আট বছরের বরাদ্দ আগের যেকোন সময়ের অনেক বেশী বলে জানান তিনি। তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌরসভার বাসিন্দা ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক শরীফ খাঁন বলেন, ২০০৮ সালে এ আসনে ওমর ফারুক চৌধুরী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তানোর-গোদাগাড়ীর নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। থানায় কোন মামলা-হাঙ্গামা, দালাল নেই। বড় নেতাদের দোড়ঝাঁপ নেই। তৃণমূল নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এসব দিক থেকে সুখে-শান্তিতে বসবাস করছে বলে জানান তিনি। তানোর উপজেলা বকামারগা ইউপি চেয়াম্যান মসলেম উদ্দীন প্রামানিক বলেন, ওমর ফারুক চৌধুরী এ আসনে নির্বাচিত হওয়ার পর রাস্তা-ঘাট স্কুল, কলেজের ভবনসহ নানা উন্নয়ন করে চলছেন। তার কাছে যেকোন কাজ নিয়ে আসা সাধারণ মানুষ খুব সহজেই যেতে পারেন প্রতিনিধি ছাড়াই। সে কোন ধরনের দালালি পছন্দ করেন না। সঠিক পথে চলতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ প্রদান করে থাকে। তানোর একে সরকার ডিগ্রী কলেচের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান মিঞা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মন্ত্রী তাদের এলাকার থাকলেও কলেজের তেমন কোন ভবন পাইনি। কিন্তু গত বছর সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর চেষ্টায় কলেজের চারতলা বিশিষ্ট আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন একাডেমিক ভবন পেয়েছি যা তানোরবাসির দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল। তানোর উপজেলার আদর্শ ও স্বর্ণপদক প্রাপ্ত কৃষক নূর মোহাম্মদ বলেন, এ অঞ্চলের কৃষকেরা কৃষিপণ্য উৎপাদন করে শুধু পাকা রাস্তার জন্য জেলার বাইরে নিয়ে যেতে পারতেন না। যার কারণে পণ্যের নায্য দামও পেতো না। আমাদের চাওয়া ছিল প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মেঠোপথ পাকা করা,  বিদ্যুৎ ও সৌরবিদ্যুৎ দ্বারা রাস্তা আলোকরণ এবং কৃষির উন্নয়ন। তবে কৃষকদের উন্ন্নয়নে স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী আমাদের চাওয়ার চেয়ে বেশি কিছু করেছেন। এখন তাদের উৎপাদিত আলু, ধান, পুকুরে চাষ তাজা মাছ ও কৃষিপণ্য জেলা শহরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় খুব সহজেই পাঠাতে পারছেন।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page