• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৪ অপরাহ্ন

রাজশাহী-১ এক ঢিলে দুই পাখি !

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি॥
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী ) ভিআইপি এই সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের একশ্রেণীর নেতার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অত্যন্ত সম্ভবনাময় গোছানো রাজনীতির মাঠ নস্টের অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের ভাষ্য, আওয়ামী লীগের চাদর গায়ে মনোনয়ন প্রত্যাশা করে এরা রাজনীতির মাঠে নামলেও গোপণে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে তাদের বি-টিম হয়ে কাজ করছে। কারণ দলীয় মনোনয়ন পাবেন না এটা নিশ্চিত হয়েও প্রার্থী ঘোষণার নেপথ্যে রয়েছে বড় অঙ্কের আর্থিক সুবিদা আদায় করা। তাদের আসল উদেশ্যে নির্বাচনের মাঠে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও দলীয় প্রার্থী উভয়কে চাপে রেখে অবৈধ সুবিধা আদায় অর্ধাৎ ‘এক ঢিলে দুই পাখি শিকার’ করা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো ভাবেই দলীয় মনোনয়ন পাবেন না এটা নিশ্চিত হয়েও মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে মাঠে নেমেছে। অথচ নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের জেলা-উপজেলা তো দুরের কথা ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড কমিটিরও দায়িত্বশীল নেতাকর্মীরা তাদের সঙ্গে নাই তাহলে কি তারা আলাদিনের চেরাগ দিয়ে ভোট করবেন। রাজনীতিতে সক্রিয় বা মাঠপর্যায়ে তাদের কোনো জনসমর্থন না থাকলেও এরা বাহারি পোষ্টার, ফেষ্টুন ও ব্যানার দিয়ে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে এতে তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগের তৃণমূল চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
সূত্র জানায়, অধিকাংশক্ষেত্রে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলা বা জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তাদের তেমন কোনো সম্পৃক্ততা নাই তৃণমূলে নেই জনসমর্থন। এমনকি এদের কেউ গভীর নলকুপের অপারেটর, কেউ ইউপি সদস্য নির্বাচিত হবার মতো যোগ্যতাও রাখে না।অথচ এরা হঠাৎ করে এসে জুড়ে বসে নিজেদের আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী দাবি করে মাঠে  নেমে আওয়ামী লীগের সম্ভবনাময় গোছানো মাঠ নস্ট ও তৃণমূলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাদের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ সাম্ভব্য প্রার্থীরা চাঙ্গা করছে তাদের দলীয় নেতাকর্মী ও নির্বাচনী মাঠ। এখন প্রশ্ন হলো কখানোই বা কোনো অবস্থাতেই দলীয় মনোনয়ন পাবেন না এটা নিশ্চিত হয়েও যারা তৃণমূলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তাদের আসল উদ্দেশ্যে কি ? তারা আদৌ নৌকার ভালো চায় ?। রাজনীতিতে নেতার (এমপি) অনেক ভূল-ক্রটি বা দোষ-গুন থাকবে এটাই স্বাভাবিক সেটা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে তাকে শতর্ক করা যেতেই পারে। কিšত্ত সেটা না করে প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশে যারা নেতার বিরুদ্ধে বিষোদাগার করছে পরোক্ষভাবে তো তারা আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনার বিরোধীতা করছে। এদিকে এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তৃণমূল এসব নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, স্থানীয় সাংসদ ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধূরীর বিকল্প তেমন কোনো নেতৃত্ব এখনো গড়ে উঠেনি। মাঠপর্যায়ের তৃণমূলের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার জরিপের ভিত্তিত্বে ইতমধ্যে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড এখানে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে ওমর ফারুক চৌধূরীকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন। তিনি ইতমধ্যে নির্বাচনী মাঠে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে আওয়ামী লীগের পক্ষে ব্যাপক জনমত গড়ে তোলেছেন। মূলত এখানে তাকে ঘিরেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি আবর্তিত ও গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অথচ এই অবস্থায় গ্রহণযোগ্যহীন ও জনিিবচ্ছিন্ন একশ্রেণীর নেতা কানভাবেই দলীয় মনোনয়ন পাবেন না এমনটা নিশ্চিত জেনেও শুধু দলীয় কোন্দল সৃস্টি ও প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই রাজনীতির মাঠে প্রচার-প্রচারণার নামে আওয়ামী লীগের সম্ভবনাময় গোছানো মাঠ তছনছ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তৃণমূলের অভিমত, আওয়ামী লীগের চাদর গায়ে মনোনয়ন প্রত্যাশা করে এরা রাজনীতির মাঠে নামলেও গোপণে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে তাদের বি-টিম হয়ে কাজ করছে। কারণ দলীয় মনোনয়ন পাবেন না এটা নিশ্চিত হয়েও প্রার্থী ঘোষণার নেপথ্যে রয়েছে বড় অঙ্কের আর্থিক সুবিদা আদায় করা। তাদের আসল উদেশ্যে নির্বাচনের মাঠে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছে থেকে আর্থিক সুবিধা আদায় করা আবার দলীয় প্রার্থীকে চাপে রেখে অবৈধ সুবিধা আদায় অর্ধাৎ ‘এক ঢিলে দুই পাখি শিকার’ করা। আর নির্বাচনের মৌসুম এলেই তাদের তৎপরতা চোখে পড়ে, আবার উভয় পক্ষের কাছে থেকে সুবিধা আদায় করে সময় মতো উধাও হয়ে যায়,দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয় অযাচিত কোন্দল। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এসব কারণে এবার এসব নেতাদের রাজনীতির মাঠে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, রজাশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধূরী শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও দুই মেয়াদে সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন  এই সময়ে তিনি এলাকায় উন্নয়নে অসংখ্য কাজ করেছেন, এসবের মধ্যে দু’একটি কাজ নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে সেটা স্বাভাবিক। কিšত্ত রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনীতির শক্ত ভিত গড়তে তার যে অসামান্য অবদান রয়েছে, তা অস্বীকারের কোনো সুযোগ নাই। তিনি আশার আগের ও পরের আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অবস্থান বিশ্লেষণ করলেই সেটি প্রমাণ হবে। এছাড়াও কর্মী ও জনবান্ধব, প্রচার বিমূখ ওমর ফারুক চৌধূরী রাজনৈতিক সহাবস্থান সৃষ্টির জন্য সকলের কাছে সমান জনপ্রিয় তাকে বাদ দিয়ে অন্য কেউ এখানে প্রার্থী হবেন এটা আওয়ামী লীগ বিরোধীরাও বিশ্বাস করে না।
এ ব্যাপারে তানোর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও কলমা ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না অভিযোগ করে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে এমপি ওমর ফারুক চৌধূরী আবারো মনোনয়ন পাচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিত। কিšত্ত এটা জানার পরেও  হঠাৎ করে আবির্ভাব ঘটেছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বেশকিছু বসন্তের কোকিলের আসলে তারা আওয়ামী লীগের ভালো চায় না তারা বিএনপি-জামায়াতের বি-টিম হয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে দলীয় কোন্দল সৃষ্টির চেষ্টা করে চলেছে।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page