• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১০:০৯ অপরাহ্ন

হিল্লা বিয়েতে শ্বশুরের দ্বারা ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ এক নারীর

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

নিজের শ্বশুরের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ভারতীয় এক নারী এমন অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ওই নারী থানায় তার স্বামী, শ্বশুর, চাচা ও আরো দুই আলেমের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের মামলা করেন।
ঘটনাটি ভারতের উত্তর প্রদেশের। ওই নারী বলেন, তাকে জোর করে নিকা হালাল করতে হিল্লা বিয়েতে বাধ্য করা হয়। এরপর তাকে ঘরে বেঁধে ধর্ষণ করে তার শ্বশুর।
তিনি বলেন ঘটনার সূত্রপাত ২০১৫ সালে। বিয়ের এক বছর পর তার স্বামী তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
সেখানকার পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ২০১৬ সালে ওই নারী তার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় নির্যাতনের মামলা করেন। কিন্তু ওই বছরের ডিসেম্বরে দুই পরিবারের সমঝোতার মাধ্যমে মামলা তুলে নেওয়া হয়। ওই নারীও তার স্বামীর পরিবারে ফিরে যায়।
ওই নারী বলেন, ফিরে যাওয়াটাই আমার জন্য কাল হয়।
পুনরায় বাড়ি ফিরলে তার স্বামী, শ্বশুর, চাচা ও দুই আলেম দাবি করেন, বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ায় এটি তালাক হিসেবে গণ্য হবে। এজন্য তাকে নিকাহ হালাল করতে হবে। এজন্য তাকে জোর জবরদস্তি করা হয়। একটি রুমে বন্দি করে রাখা হয় সেখানে তার শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করে। পুলিশ জানায় এর কিছুদিন পর তার স্বামীও তাকে ধর্ষণ করে। তিনি এখন অন্তসত্বা।
ওই নারী জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করলে তার স্বামীর পরিবার থেকে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। শেষমেশ গত শনিবার তার স্বামী শ্বশুর, চাচা ও দুই আলেমের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
নিকাহ হালাল বা হিল্লা বিয়ে হচ্ছে তালাক পাওয়ার পরও যদি মুসলিম মহিলাদের প্রাক্তন স্বামীর কাছে ফিরতে হয় তবে দ্বারস্থ হতে হবে হিল্লা বিয়ের। সেক্ষেত্রে অন্য কোনও পুরুষকে বিয়ে করতে হয় তালাকপ্রাপ্ত নারীকে৷ তার সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মতোই সম্পর্ক রাখতে হবে৷ এবার এই দ্বিতীয় ব্যক্তির কাছ থেকে  তালাক নিতে হবে ওই নারীকে। তারপর আবার প্রথম স্বামীকে নিকাহ করতে পারবেন৷ এ প্রথা মুসলিম সমাজে বহুল প্রচলিত।
Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page